|
|
|
|
জখম ৫ পুলিশ কর্মী, ধৃত ১০ |
কালিয়াচকে সংঘর্ষে বন্ধ জাতীয় সড়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বুধবার উত্তাল হয়ে উঠল কালিয়াচক। সংঘর্ষের জেরে প্রায় তিন ঘন্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে কালিয়াচক থানার আইসি-সহ ৫ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “দুই এলাকার বাসিন্দাদের গোলমাল থামাতে গিয়ে কালিয়াচকের আইসি-সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৈষ্ণবনগর ও মালদহ হেডকোয়ার্টার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মহরমে লাঠি খেলাকে কেন্দ্র করে সুলতানগঞ্জ ও ঘড়িয়ালিচকের বাসিন্দাদের মধ্যে গোলমাল হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে মিটমাট হয়ে গেলেও দুই গ্রামে উত্তেজনা ছিল। ফের যাতে কোনও গোলমাল না-হয় সেজন্য বুধবার কালিয়াচক থানার আইসি দুই গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে থানায় সালিশি সভা ডেকেছিলেন। সালিশি সভায় মিটমাট হওয়া দূরের কথা, থানার ভিতরেই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। তারপর থানার ভিতরে পুলিশের সামনেই দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। দুপক্ষ থানা থেকে বেরিয়েই একে অপরকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হারে ঢিল ছোঁড়াছুড়ি ও বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ। নিমিষের মধ্যে থানা ও আশেপাশের এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। গ্রামবাসীদের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে কালিয়াচকের আইসি-সহ ৫ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। বন্ধ হয়ে যায় কালিয়াচকের চৌরঙ্গি বাজার। কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। মারমুখি দুই গ্রামের বাসিন্দারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জাতীয় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। |
|
|
|
|
|