খাতায় কলমে ২ জন চিকিৎসক রয়েছেন। বাস্তবে মালদহের চন্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চিকিৎসকও নেই বলে অভিযোগ। ফামার্সিষ্ট, নার্সরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাচ্ছেন। গ্রামের বাসিন্দারা বহুবার আর্জি জানানোর পরেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সেখানে কোনও চিকিৎসক পাঠায়নি বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বুধবার ইংরেজবাজার থানার ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেয়ার, টেবিল ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে জেলা স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন কুমার ঝরিয়াত বলেন, “জেলায় ৪০ জনের বেশি চিকিৎসকের পদ শূন্য। এক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসককে তুলে নিয়ে অন্য হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে। তবে মিল্কির বিএমওএইচ চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসক তোলার পরে সেখানে অন্তত একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ সদর হাসপাতালে সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট খোলার জন্য চণ্ডীপুরের ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সিক নিউ বর্ন কেয়ার বিশেষজ্ঞ শিবানী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেয়। এখন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুরের পরে সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেখানে চিকিৎসক পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, মালদহ সদর হাসপাতাল থেকে অন্তত এক জনকে তুলে নিয়ে ডেপুটেশনে চন্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা চালু হোক। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার খবর পাওয়ার পরে পুলিশ কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ শয্যার ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২ চিকিৎসক, ৩ জন নার্স, একজন ফার্মসিস্ট থাকার কথা। ২ মাস আগে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক পলাশচন্দ্র খাঁড়াকে তুলে অন্য এক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় চিকিৎসক শিবানী চক্রবর্তীকেও তুলে নেওয়া হয়। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়ায় এলাকায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বুধবার গ্রামবাসীরা অসন্তোষ উগড়ে দেন। এ দিন বেলা ১০ টা নাগাদ প্রায় ৩০০-৪০০ গ্রামবাসী স্বাস্থ্যকেন্দ্র চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। |