এক শিশুর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করলেন তার বাবা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে অঙ্গদপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অঙ্গদপুরের পলাশতলার বাসিন্দা কারখানার ঠিকাকর্মী সঞ্জীব ঘোষ এ ব্যাপারে অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সঞ্জীববাবু ও তাঁর স্ত্রী ঝুমাদেবী জানান, ২৭ দিনের শিশুপুত্রকে ইঞ্জেকশন দেওয়ানোর জন্য ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। শিশুটি অসুস্থ ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য সহায়িকাকে সে কথা জানলেও তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। ইঞ্জেকশন দেওয়ার আধ ঘণ্টা পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অতসী মণ্ডল জানান, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে শিশুটির ময়না-তদন্ত হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত হবে।
|
নকশালবাড়ি হাসপাতালে পরিষেবার মানোন্নয়নের আশ্বাস দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার তিনি ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সে সময় হাসপাতালের বেশ কিছু সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, হাসপাতালে চার শয্যার সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট-এ চিকিৎসক কম থাকায় সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসার কিছু সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে রয়েছে। কিছু নতুন সরঞ্জামও কেনা প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ওই হাসপাতালের পরিষেবার মানোন্নয়নে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করব। ভবনের একাংশ সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তা ছাড়া কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম দরকার। চিকিৎসক কম থাকার সমস্যা অনেক হাসপাতালেই রয়েছে। বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা হবে।”
|
সদ্যোজাতদের পরিচর্যায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চালু হল নিও নাটাল ইউনিট। বুধবার দশ শয্যার এই ইউনিটটি উদ্বোধন করেন রাজ্যের যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। জেলায় প্রথম এই ইউনিট চালু হল। নবজাতকদের পরিচর্যায় এর আগে জেলা সদর হাসপাতালে পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয় ২০০৮ সালে। শক্তিনগর হাসপাতালে এই নিওনেটাল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-১১ বর্ষে ৩৩৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২০১১-১২ বর্ষের নভেম্বরেই শিশুমৃত্যুর সংখ্যা এসে ঠেকেছে ২৫৭ তে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল সুপার কাজল মণ্ডল বলেন, “এই নতুন ইউনিটটি শিশু বিভাগের পাশেই তৈরি করা হয়েছে। শিশু বিভাগের চিকিৎসকেরাই অসুস্থ সদ্যোজাতদের দেখভাল করতে পারবেন।” উজ্জ্বলবাবু বলেন, “পরিকাঠামোর অভাবে বহু শিশুকে সঙ্কটজনক অবস্থায় রেফার করা হয়। এই ইউনিট চালু হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও কমবে।”
|
কুলটি কলেজের সামনে তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে রক্তের শ্রেণি নির্ণয় শিবির আয়োজিত হল বুধবার। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক। আয়োজকদের পক্ষে জানানো হয়েছে, এ দিন ৭১ জনের রক্তের শ্রেণি নির্ণয় করা হয়েছে। |