তাদের সঙ্গে নিত্য দুর্ব্যবহার করা হয়, অসুস্থ হলে তাদের ওষুধও দেওয়া হয় না। এই অভিযোগে বহরমপুরের ‘আনন্দ আশ্রম’ হোমের আবাসিক ছাত্রেরা হোমের কর্মীদের এ দিন দুপুর পর্যন্ত ওই হোমে ঢুকতেই দিল না।
বুধবার দিনভর তাদের ‘আন্দোলনের’ জেরে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তাদের দাবিগুলি নিয়ে বৈঠক করা হবে এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
সরকারি ওই হোমে রয়েছে দুঃস্থ পরিবারের ১৮ বছরের কম বয়সি ৭২ জন আবাসিক। রয়েছে বিভিন্ন বয়সের ২২ জন বিচারাধিন বন্দিও। হোম সূত্রে জানানো হয়েছে, আবাসিক ছাত্রেরা অসুস্থ হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রয়েছেন এক জন ফার্মাসিস্ট। বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য এক শিক্ষিকা। তবে ‘দুর্ব্যবহারের’ তালিকা থেকে এঁরাও বাদ যাননি। |
আবাসিক রহিত শেখের বাড়ি মালদহের গয়েশপুরে। সে এখন দশম শ্রেণির ছাত্র। মুর্শিদাবাদের জীবন্তির দীপক টুডু অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তারা এক যোগে বলে, “এত দিন আখাদ্য খেতে দেওয়া হত। তার বিরুদ্ধে গত অগস্ট মাসে আমরা সব আবাসিক মিলে অনশন করেছি। শিক্ষিকা তপতী কর্মকার, ফার্মাসিস্ট দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও হোমের কর্তা রাজেন ঘোষ বিভিন্ন ভাবে তার বদলা নিচ্ছেন। আমাদের ওষুধ দেওয়া হয় না। হাতে-কলমে কাজও আর শেখানো হয় না।” এ দিন তাই সকাল থেকে অনশন শুরু করে তারা। হোমের কর্তারা অবশ্য পাল্টা বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে তোলা কোনও অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলব না। যা বলার আশ্রমের সুপার বলবেন।” মাসখানেক থেকে ওই আশ্রমের সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের বহরমপুর-সহ তিনটি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নিতাই সাহা। তিনি বলেন, “আবাসিক ও কর্মী-- উভয় পক্ষের মধ্যেই কিছু ভুল ত্রুটি রয়েছে। আগামি শুক্রবার দু’ পক্ষকে নিয়ে আলোচনা বসব।” |