|
|
|
|
উদ্যোগী প্রশাসন |
নিরাপত্তায় সিসি টিভি |
নমিতেশ ঘোষ • শিলিগুড়ি |
একদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যদিকে ট্রাফিক দুটিকেই মাথায় রেখে শিলিগুড়ি শহরে ২০টি সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে একটি পরিকল্পনা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে জমা দিয়েছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে ওই পরিকল্পনায় ছাড়পত্র মিলেছে রাজ্য সরকারের তরফে। কোথায় কোথায় সিসিটিভি প্রয়োজন তা ওই পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “শিলিগুড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে জোরদার নিরাপত্তা প্রয়োজন। ট্রাফিক ব্যবস্থাও উন্নত করা দরকার। তাই ওই সিদ্ধান্ত। খুব শীঘ্রই কলকাতায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। যত দ্রুত সম্ভব সিসিটিভি বসানো হবে।” দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সিসিটিভি বসানো নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে।” রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরই শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল সিসিটিভি নিয়ে সমীক্ষা চালান। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার সঙ্গেও কথা বলেছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, জলপাই মোড়, এনটিএএস মোড়, মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় এলাকা, কাছারি মোড়, পানিট্যাঙ্কি মোড়, হংকং মার্কেট, বিধান মার্কেট, জংশন, হাসমিচকে সিসিটিভি বসানো হবে। ১২টি সিসিটিভি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হবে। সিসিটিভি দেখে যে কোনও ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ৮টি সিসিটিভি বসানো হবে শুধু নিরাপত্তার জন্য। শহরের ব্যস্ত জায়গাগুলিতে সিসিটিভি বসানো হবে। চুরি, ডাকাতি বা অন্য কোনও দুষ্কর্ম হলে সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে বলে পুলিশের ধারণা। সম্প্রতি এনটিএস মোড়ে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় সিসিটিভি দেখেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুম্বইয়ে জঙ্গি হানার সিসিটিভি দেখেই আজমল কাসভকে চিনতে পেরেছিল পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “সিসিটিভি বসানো হলে নিরাপত্তার দিক থেকে শিলিগুড়ি অনেক শক্তিশালী হবে। সেটা আমরা করতে চাইছি।” গৌতমবাবু জানান, এনজেপিতে ঢোকার মুখে একটি সিসিটিভি বসানো নিয়েও চেষ্টা করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|