|
|
|
|
প্রতারণা-মামলা |
নাম জড়াল শিক্ষকেরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
লগ্নিকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এ বার অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক নন্দদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি আদালতে মামলা দায়ের হল। বুধবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে ওই মামলা রুজু করেন জীবন বিমা নিগমের কর্মী রাজীব ভদ্র। একই সঙ্গে তিনি পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেন শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দফতরে। আদালতে রাজীববাবু অভিযোগ করেন, নন্দদুলালবাবু নিজেকে বেঙ্গালুরু কেন্দ্রিক একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট হিসাবে দাবি করে রাজীববাবুর স্ত্রী নির্মালী দেবীকে দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করান। ওই সংস্থাটি লগ্নি করা টাকার উপরে প্রতি মাসে ১৫ শতাংশ সুদ দেবে বলেও নন্দদুলালবাবু প্রতিশ্রুতি দেন। গত বছর অক্টোবরে টাকা বিনিয়োগ করার পরে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি সুদ পান। তার পর সুদ দেওয়া বন্ধ হয়। পরে জানা যায় সংস্থাটি উঠে গিয়েছে। এই ব্যাপারে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তাঁর স্ত্রী নন্দদুলালবাবুকে বহু বার অনুরোধ করলেও তিনি কোনও ব্যবস্থাই নেননি বলে রাজীববাবুর অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা অভিযোগে রাজীববাবু দাবি করেছেন, বেঙ্গালুরুর অন্য একটি লগ্নি সংস্থায় নন্দদুলালবাবু তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করান। সেখানেও তাঁর স্ত্রী প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারণায় নন্দদুলালবাবুর স্ত্রী এবং পুত্রবধূও জড়িত বলে রাজীববাবু অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাজীববাবুর আইনজীবী সুন্দীপ দাস ও মৌমিতা পাল জানান, বিচারক সুপ্রিয়া খান মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বিচারক জেনারেল রেকর্ড সেকশনকে নির্দেশ দিয়েছেন এই বিষয়ে অন্য কোনও মামলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। তার পরেই মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওই অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক বলেন, “আমি নির্দোষ। মামলা হলে আদালতে আমার বক্তব্য পেশ করব। আমি যে নির্দোষ তা প্রমাণ হবে।” এদিন মামলা দায়ের করে রাজীববাবু বলেন, “শিলিগুড়িতে লগ্নি সংক্রান্ত যে কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটিতেই নন্দদুলালবাবু জড়িত রয়েছেন। আদালতে তার প্রমাণ দেব।” |
|
|
|
|
|