|
|
|
|
এনবিইউয়ে ছাত্র-তাণ্ডব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালাল এক দল পড়ুয়া। বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রশাসনিক ভবন, অ্যাকাডেমিক স্টাফ কলেজ, দর্শন বিভাগ, কলা বিভাগে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ঘটনায় ছাত্র পরিষদ জড়িত বলে অভিযোগ উঠলে তারা ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত থাকা অস্বীকার করেছে। এ দিন দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নির্বাচন পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক-সহ ৩ আধিকারিক। ছাত্র পরিষদের দাবি, ছাত্র সংসদের নির্বাচন দ্রুত করানোর দাবিতে তারা সম্প্রতি অনশন আন্দোলন করেন। এর পর চাপে পড়ে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করায় তারা বিরোধিতা করছেন। তবে ভাঙচুরে তাঁরা কেউ যুক্ত নন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্র পরিষদ। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অলক মজুমদার বলেন, “পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের এক তলার করিডরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দর্শন বিভাগে গবেষণার বিভিন্ন মডেলও ভাঙচুর করে উত্তেজিত ছাত্ররা। অ্যাকাডেমি স্টাফ কলেজ, কলা বিভাগে ভাঙচুর চালানো হয়। রেজিস্ট্রারের দফতর, ফিনান্স বিভাগেও হামলা করতে গিয়েছিল ওই ছাত্ররা। তবে ওই সমস্ত বিভাগের দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ঢুকতে পারেনি।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার মধ্যে নির্বাচন পড়ায় তা পিছনোর দাবি করছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এ দিন তারা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে দাবি জানান, ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন তোলা থেকে তা জমা করা এবং প্রত্যাহারের দিন ঠিক হয় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওই দিনই প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণার কথা। এর পর প্রচারের সময় মিলবে না। তাই নির্বাচন পিছনোর দাবিতে এ দিন ঘেরাও করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বিকেল পর্যন্ত ঘেরাও চলার পর নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর পরেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় ছাত্র পরিষদ। ছাত্র পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের দায়িত্বে থাকা রোনাল্ড দে বলেন, “ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা জড়িত নই। তবে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছিল না। তাদের আন্দোলনের চাপে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। অথচ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নির্বাচন পিছনোর দাবি তোলে। নেতা-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপে নির্বাচন পিছনো হয়েছে। আমরা বিষয়টি মেনে নেব না।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, “কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে পেরে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। তাতেই ছাত্র পরিষদ খেপে গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|