পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পার্ট-ওয়ানের অনার্স এবং পাশ কোর্সের ফল জানতে গিয়ে রীতিমতো নাকাল অবস্থা ছাত্রছাত্রীদের। সোমবার প্রায় শেষ বিকেলে ফল প্রকাশের ফলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই তা জানতে পারলেন বুধবার সকালে। ফলে প্রায় দু’দিন উদ্বিগ্ন হয়েই কাটাতে হল তাঁদের। পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ করা হবে তা আগে জানাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্রায় সন্ধের মুখে ফল প্রকাশের ফলে পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই সে দিন ফল জানতে পারেননি। পরের দিন, মঙ্গলবার, ছিল মহরমের ছুটি। ফল জানার প্রশ্ন ছিল না সে দিনও। অধিকাংশ কলেজগুলি বুধবার সকালে বারাসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর থেকে রেজাল্ট-শিট বা গেজেট নিয়ে এসে কলেজে টাঙিয়ে দেওয়ার পরেই ছাত্রছাত্রীরা শেষ পর্যন্ত তাঁদের পরীক্ষার ফল জানতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অভিজিৎ তলাপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, ৫ ডিসেম্বর যে ফল প্রকাশ হবে, তা ওয়েবসাইটে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “কোনও কোনও কলেজ হয়তো তা খেয়াল করেনি। সেই কারণেই সমস্যা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে সমন্বয়ের অভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভুগতে না হয়, তা দেখা হচ্ছে।” উপাচার্য অশোকরঞ্জন ঠাকুর অবশ্য জানান, ওই দিন, অর্থাৎ সোমবার সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশের কথা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের ওয়েবসাইটে ওই দিন সকালেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। আশা করা যেতেই পারে, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ বা কর্তৃপক্ষ ওই ওয়েবসাইট দেখবেন।” ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশেরই দাবি, কয়েক দিন ধরেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশের দিনক্ষণ জানার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সাইটে তার উল্লেখই ছিল না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৫৭টি কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৯টি কলেজে বিএ পড়ানো হয়। সোমবার ফল প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও কেন তা জানানো হয়নি, এই প্রশ্নে বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে এক দল ছাত্রছাত্রী সকাল থেকে হাবড়ার শ্রীচৈতন্য কলেজের গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঢুকতে দেওয়া হয়নি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল গেজেট নিয়ে এলে তাঁকেও আটকে রাখা হয়। শেষে কলেজের শিক্ষক পরিষদে সমস্যাটি নিয়ে তিনি আলোচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ ফল জানতে পেরেছে বুধবার। অধ্যক্ষ গোপীনাথ হাইত বলেন, “সোমবার সকালেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোন করলেও কেউ কিছুই জানাননি। বুধবার লোক পাঠিয়ে গেজেট আনা হয়।” |