দলীয় সদস্যদের আনা অনাস্থায় হেরে গিয়ে পদ খোয়ালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-১ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫। তার মধ্যে তৃণমূলের ১০টি এবং সিপিএমের ৫টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলন তৃণমূলের সহিদুল ইসলাম। গত ১৬ নভেম্বর দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে দুব্যর্বহার ইত্যাদি নানা অভিযোগে তৃণমূলের আট জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। এ ব্যাপারে বিডিওর কাছেও অভিযোগ জানানো হয়। বুধবার ওই অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি ছিল। তৃণমূলের ৫ জন সদস্য অনুপস্থিত থাকলেও বাক পাঁচজন এবং সিপিএমের পাঁচ সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। বিডিও পারমিতা রায় বলেন, “আট জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করা হয়। তবে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত হবে। শীঘ্রই পরবর্তী প্রধান নির্বাচনে পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিন অনাস্থায় হেরে গিয়ে প্রধান সহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হলাম। দলের ভাঙড়-১ ব্লকের সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরীর সঙ্গে বেশি সম্পর্ক থাকায় প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম চক্রান্ত করে আমাকে সরিয়ে দিয়েছে। কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে আমি জনিত নই। প্রয়োজনের আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” যদিও সহিদুলের বক্তব্য নিয়ে আরাবুল ইসলাম সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর কথায়, “এ বিষয়ে যা জানানোর আমি জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।” দলের জেলা সভাপতি ও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যে দলীয় সদস্যেরা সিপিএমের সঙ্গে মিলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তাঁদের বিষয়ে দলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |