মোটরবাইক চুরির অভিযোগে মঙ্গলবার বনগাঁ থানার পুলিশ রেটপাড়া এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কমল দত্ত এবং দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (দেবু)। কমলের বাড়ি হুগলির শ্রীরামপুর থানার সর্দারপাড়ায়। দেবুর বাড়ি বনগাঁর প্রতাপগড়ে। চোরাই মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোটরবাইক চুরি বেড়েছে। চুরি করা মোটরবাইকগুলি বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। মূলত, একটি সংস্থার তৈরি বাইকই বেশি চুরি হচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশে ওই বাইকের চাহিদা রয়েছে। দুষ্কৃতীরা বাইক চুরি করে সীমান্তের কাছে নিয়ে গিয়ে যন্ত্রাংশ খুলে ফেলে। তার পরে তা বস্তায় ভরে নৌকায় বা পিঠে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিএসএফের চোখে ধুলো দিতে অনেক সময়ে সীমান্তের ধারে গর্ত করে যন্ত্রাংশগুলি রেখে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে বাইকের ইঞ্জিন মোটরভ্যান বা ভুটভুটিতে ব্যবহার করা হয়। সোমবার দুপুরেই গাইঘাটার ইছাপুর-হাটখোলা বাজারের একটি মুদি-দোকানের মালিক নিমাই ঘোষের বাইক চুরি করে দুই যুবক। অন্য এক জনের বাইকে চড়ে যুবকদের ধাওয়া করেন নিমাইবাবু। কিন্তু তাদের ধরতে পারেননি। এ নিয়ে তিনি গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার যে দু’জনকে ধরা হয়, তারা শ্রীরামপুর থেকে বাইকটি চুরি করে। দলে তারা তিন জন ছিল। বনগাঁর রেটপাড়ায় বাইকটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এক জন পালিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, বাইকটি তারা বনগাঁর ঢাকাপাড়ার এক পাচারকারীর কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। পুলিশ সেই পাচারকারীর খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে।
এসডিপিও (বনগাঁ) জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতদের জেরা করে মোটরবাইক চুরি চক্রের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। যে সব বাইক চুরি হয়েছে, সেগুলি উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে।” |