এক সপ্তাহ পরেই জেলা জুড়ে কলেজগুলির ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন। সেই ভোট নিয়েই কান্দির রাজ কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বুধবার দুপুর ৩ টে নাগাদ সংঘর্ষ শুরু হয়। তার জের গড়ায় রাত পর্যন্ত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য-সমর্থকেরা কান্দি থানায় বিক্ষোভ দেখান বিকেলেই। সন্ধ্যা নাগাদ পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থানায় চলে আসে ছাত্র পরিষদের সদস্যেরাও। দু’পক্ষেরই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। পরস্পরের সদস্যদের গ্রেফতার করার দাবিও তোলা হয়েছে। পরে পুলিশ বহিরাগতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দিন ওই কলেজ চত্বরে আসন্ন নির্বাচন নিয়েই বৈঠক করছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কলেজের গ্রন্থাগারের পাশে সেই বৈঠক হচ্ছিল। কিন্তু তাতে পড়াশোনার ব্যাঘাত হচ্ছে বলে কিছু ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ করার পরেই ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মুর্শিদাবাদ জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার প্রামাণিকের বক্তব্য, “সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেও আমাদের ঠেকানো যাবে না। রাজ্য জুড়ে যেমন আমাদের ঠেকানো যায়নি, তেমন এখানেও পারা যাবে না।” কান্দি ব্লক ও রাজ কলেজ শাখার টিএমসিপি সভাপতি সাবিরুল হোসেন বলেন, “ছাত্র পরিষদের বহিরাগতেরা এসে কলেজে সন্ত্রাস তৈরি করছে।”
এরপরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য সমর্থকেরা কান্দি থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সাবিরুল বলেন, “আমরা পুলিশকে বলেছি, ছাত্র পরিষদ যে বহিরাগতেরা কলেজ চত্বরে এসে সন্ত্রাস তৈরি করছিল, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।” তিনি বলেন, “এই দিন ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা আমাদের মিলন মণ্ডল নামে এক সদস্যকে মারধর করেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।” তবে ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দেব ঘটকের বক্তব্য, “সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা। যারা এই দিন বৈঠক করছিল, তারা সকলেই বহিরাগত। তাদের কেউ মারধরও করেনি।”
কান্দি থানার আইসি সুনয়ন বসু বলেন, “বহিরাগতেরা এসে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছে দু’পক্ষই। আমরা তা খতিয়ে দেখছি।” |