|
|
|
|
সুশান্ত ঘোষের ভাইয়ের হোটেল |
দিঘার হোটেল ম্যানেজারকে ডাক সিআইডি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্ত ঘোষের দিঘার হোটেলের ম্যানেজারকে জেরা করতে চাইছে সিআইডি।
২০০৭-এর ১০ নভেম্বর সিপিএমের ‘পুনর্দখল অভিযান’-পর্বে নন্দীগ্রাম থেকে ‘নিখোঁজ’ ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি-র সমর্থকদের নিখোঁজ হওয়ার ওই ঘটনার তদন্তে নেমে গত শনিবারই সিআইডি-র দল তল্লাশি চালায় দিঘার ওই হোটেলে। পুরনো রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কর্মচারীদের। আজ, বৃহস্পতিবার হোটেলের ম্যানেজারকে তলব করা হয়েছে ভবানীভবনে, সিআইডি-র সদর দফতরে। প্রশান্তবাবু পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসেরবাঁধের কঙ্কাল-কাণ্ডে ‘ফেরার’ গত ছ’মাস ধরে।
সিআইডি-র দাবি, তদন্তে তারা জেনেছে, ওই ১০ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের অন্য কয়েকটি জেলা থেকে দুষ্কৃতী ও দলের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে নন্দীগ্রাম ও তার আশপাশের অঞ্চলে জড়ো করেছিল সিপিএম। ওই ‘বহিরাগত’দের একাংশ প্রশান্তবাবুর দিঘার হোটেলেও আশ্রয় নিয়েছিল। প্রশান্তবাবু নিজে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার বাসিন্দা। গড়বেতার দুই সিপিএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলিও নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল-পর্বে’ দিঘায় প্রশান্তবাবুর হোটেলেই আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে সিআইডি-র সন্দেহ। সেই ‘সূত্র’ ধরেই ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বস্তুত, সেই ১০ নভেম্বর রাতেই নন্দীগ্রামের বাসিন্দা কল্পনা মুনিয়ান, ভিকেন গায়েন, যাদব পালকে আহত অবস্থায় গাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে যাওয়ার পথে এগরায় ধরা পড়েন তপন ঘোষ, সুকুর আলি-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের ১২ জন নেতা-কর্মী। গুমখুনের মতলবেই তাঁদের মেদিনীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অভিযোগে কল্পনাদেবীরা পরে মামলা করেন। সেই মামলার কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিআইডি। তপন-সুকুর অবশ্য রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই আত্মগোপন করেছেন। |
|
|
|
|
|