সচিন-দ্রাবিড়দের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে বড় ধাক্কা অস্ট্রেলীয় পেস বোলিংয়ে। টেস্ট অভিষেকেই ম্যাচের সেরা হয়ে সাড়া ফেলে দেওয়া আঠারো বছর বয়সি নতুন অস্ট্রেলীয় পেস-আবিষ্কার প্যাট কামিন্স গোড়ালির চোটে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বেশির ভাগটাই খেলতে পারবেন না। ধোনির দলের সঙ্গে বক্সিং ডে-তে (২৬ ডিসেম্বর) মেলবোর্নে চার টেস্টের সিরিজ শুরু হওয়ার পরে শেষ তিনটি ম্যাচ সিডনি, পার্থ ও অ্যাডিলেডে। কামিন্সের নাকি গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জো’বার্গে আবির্ভাব টেস্টেই পায়ে চোট লেগেছিল। সেই সময় এমআরআই স্ক্যান রিপোর্ট দেখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল, ভারত সিরিজের প্রথম থেকেই কামিন্স পুরো ফিট হয়ে খেলতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্ক্যান রিপোর্ট দেখে মেলবোর্নের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝির আগে তরুণ ফাস্ট বোলারের মাঠে ফেরার আশা কম। ফলে প্রথম দুটো টেস্টের বাইরে কামিন্স চলে গেলেন তো বটেই। ১৩ জানুয়ারি শুরু তৃতীয় টেস্টেও তিনি অনিশ্চিত। শেষ টেস্ট শুরু হবে ২৪ জানুয়ারি। হতাশ কামিন্স বলেছেন, “মাঝ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আমার অন্য কোনও উপায় নেই। আশা করি তার বেশি অপেক্ষা করতে হবে না মাঠে ফিরতে, এবং আমার অনুপস্থিতি আমাদের পেস বোলিংয়ে বিশেষ পাথর্ক্য কিছু ঘটাবে না সচিন তেন্ডুলকরদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু ক্রিকেটমহল মনে করছে, মিচেল জনসন চোটের জন্য নেই। প্যাটিনসন সবে একটা মাত্র টেস্ট খেলেছেন। এই অবস্থায় কামিন্সের মতো প্রচণ্ড গতির বোলার অস্ট্রেলীয় বোলিং আক্রমণে না থাকা মানে সহবাগ-গম্ভীরদের অস্ট্রেলিয়ার বাউন্স ভরা উইকেটে সত্যিকারের গতি সম্পন্ন বোলিংকে মোটামুটি সামলাতেই হবে না। এ দিকে, আইপিএল ফাইভে খেলার জন্য আগামী বছরের শুরুর দিকে নিজেকে নিলামে চড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কামিন্স। বলেছেন, “নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ভারতের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি খেলে দারুণ উপভোগ করেছি। সে জন্য আইপিএল-ও খেলতে চাই।” যদিও স্টিভ ওয়ের মতো কিংবদন্তি প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক কামিন্সের আইপিএল খেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন না। স্টিভ বলছেন, “কামিন্সের মতো প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটারের এখন অগ্রাধিকার তালিকায় সবার আগে থাকা উচিত টেস্ট ক্রিকেট, দেশের হয়ে খেলা। একজন ক্রিকেটারের দেশের জার্সি গায়ে খেলার চেয়ে বড় উপভোগ্য কিছু বোধহয় আর হতে পারে না।”
কামিন্সের খারাপ খবরের দিনই অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য ভাল খবর হল, শন মার্শ পিঠের ব্যথা থেকে কার্যত সেরে উঠেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের শুরু থেকেই এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানকে পাওয়া যাবে বলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে। |