চেলসি, মার্সেই, জেনিতসবাই মঙ্গলবার রাতে তাদের পক্ষে যে ফল-এর দরকার ছিল, সেটাই পেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের টিকিট জোগাড় করে ফেলল। যথাক্রমে ভালেন্সিয়া, অলিম্পিয়াকোস ও পোর্তো-কে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে দিয়ে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য অলিম্পিয়াকোসের। আর্সেনালকে ৩-১ হারিয়েও তাদের পরের রাউন্ডে যাওয়া আটকে গেল, ওই গ্রুপেই মার্সেই জিতে যাওয়ায়। আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল হেরেও ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্টে গ্রুপ শীর্ষে রয়ে গেল। কিন্তু অলিম্পিয়াকোসকে (৯) মাত্র এক পয়েন্ট পিছনে ফেলে মার্সেই (১০) ‘এফ’ গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে নক আউটে উঠেছে। আগেই শেষ ষোলোয় উঠে যাওয়া গত বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েও কাম্প ন্যু-তে ৪-০ গোলে চূর্ণ করেছে বাতে-কে। ওই গ্রুপে এসি মিলান অবশ্য ইনজুরি টাইমে দু’গোল খেয়ে ২-২ ড্র করেছে প্লাজেন-এর বিরুদ্ধে। আর অনাবাসী বাঙালি ম্যানেজার রবিন দত্তের দল লেভারকুসেন শেষ ম্যাচে জেঙ্ক-এর সঙ্গে ১-১ ড্র করে চেলসির গ্রুপ থেকে ১০ পয়েন্টে দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে। ভালেন্সিয়া তৃতীয়, রবিন দত্তের টিমের চেয়ে দু’পয়েন্ট পিছনে থেকে। |
গত কাল রাতে অবশ্য সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই ছিল লন্ডনে চেলসি-ভালেন্সিয়া ম্যাচে। ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দিদিয়ের দ্রোগবা-র জোড়া গোল এবং রামিরেজের গোলে আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াসের দল সব সমালোচকের মুখ বন্ধ করে দেয়। তিন মিনিটে দ্রোগবা ১-০ করেন। চেলসির দ্বিতীয় গোল রামিরেজের। ৭৬ মিনিটে দ্রোগবা নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করার দু’মিনিট পরে মাঠ ছাড়লে ফের্নান্দো তোরেস নামেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির সর্বদা নক আউটে ওঠার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখার নায়ক দ্রোগবা বলেছেন, “আমি সব সময় কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালবাসি।”
নাটকীয় উপাদান ছিল ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে মহাগুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচে মার্সেই-এর ৩-২ গোলে জয়েও। ৩২ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও ফরাসি দলটি দুই অর্ধেই একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে ম্যাচ বার করে নেয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে রেমি ১-২ করার পরে ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটের মধ্যে আয়েউ এবং ভালবুয়েনা পরপর আরও দু’গোল করেন। ৮৫ মিনিটে ২-২ হওয়ার পর কিক অফ হতেই ৮৭ মিনিটে মার্সেইয়ের জয়সূচক গোল। এসি মিলান আবার ম্যাচের শেষ চার মিনিটে দু’গোল খেয়ে ড্র করেছে। ৪৭ ও ৪৮ মিনিটে পাতো ও রোবিনহো-র গোলে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর জয় যখন নিশ্চিত দেখাচ্ছে ইতালীয় টিমের, তখন ৮৯ ও ৯৩ মিনিটে প্লাজেন পরপর দু’গোল শোধ করে চমকে দেয় প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নদের।
আর বার্সেলোনা প্রথম দলের একমাত্র পেদ্রো রডরিগেজ ছাড়া পুরো রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের খেলিয়েও সহজে জিতেছে। বেঞ্চে তারকাদের মধ্যে শুধু জেরার্ড পিকে-কে রেখেছিলেন গুয়ার্দিওলা। কিন্তু তাঁকেও ব্যবহার করেননি। মেসি-জাভি-ফাব্রেগাসদের অনুপস্থিতি কাজে লাগিয়ে বার্সার যুব ফুটবলারদের মধ্যে সের্গি রবার্তো ও মন্তোয়া গোল করেন। বাকি দু’টো গোল অবশ্য পেদ্রো-র। অন্য ম্যাচে পোর্তো-জেনিত গোলশূন্য ড্র হয়। অ্যাপোয়েল ০-২ শাখতারের কাছে হারলেও সাইপ্রাসের দলটির ‘জি’ গ্রুপে শীর্ষে থেকে নক আউটে ওঠা আটকায়নি। তবে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন পোর্তো-কে এক পয়েন্টে পিছনে ফেলে এই গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় গেছে জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ। |