|
|
|
|
সংখ্যালঘু-সভাতেও তৃণমূলের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ নামক রোগটির প্রকোপ এতটাই, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাতেও উঠে এল ওই প্রসঙ্গই। একাংশ নেতা অভিযোগ করলেন, সিপিএমের সঙ্গে যোগসাজশ রেখেই দলের কিছু নেতা পরিকল্পনামাফিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন। রাজ্যে পালাবদলের আগে পর্যন্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর যে সিপিএম নেতা-কর্মীরা অত্যাচার করেছেন, তাঁরাই এখন তৃণমূলেও মাতব্বর হয়ে উঠছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের কেউ কেউ সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন। সংখ্যালঘু সেলের সভায় এ হেন অভিযোগের স্রোতে ফের বিড়ম্বনায় পড়লেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ‘নব্য’ তৃণমূলীদের চেয়ে ‘পুরনো’রাই দলে গুরুত্ব পাবেনএই ঘোষণাও করতে হল জেলা নেতৃত্বকে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় সংখ্যালঘু-সম্মেলনের আয়োজন করেছে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেল। সেই কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবেই বুধবার মেদিনীপুর শহরে জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ইদ্রিস আলি, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ফারজানা আলম, জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখ। সভায় একাংশ নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন, পালাবদলের পর সিপিএমের কিছু লোক তৃণমূলে ঢুকে গিয়েছে। এরাই এখন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। জেলা নেতৃত্ব অবশ্য জানান, এমন লোকদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে যাঁরা দলে ছিলেন, তাঁরাই গুরুত্ব পাবেন। নতুন কেউ এসেই সামনের চেয়ারে বসতে পারবে না। তৃণমূলে আসতে হলে তাঁকে সাধারণ সদস্য হয়েই আসতে হবে। সংখ্যালঘু সভায় কর্মীদের একাংশের ‘অসন্তোষের আঁচ’ পেয়ে প্রদ্যোৎবাবু বলেন, “২০০৯ সালের ভোটের পরে যাঁরা দলে এসেছেন তাঁরা কেউই কোনও স্তরে নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। ভোটের আগে যাঁরা লড়াই করেছেন, অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁরাই গুরুত্ব পাবেন।” ইদ্রিশ আলি বলেন, “কংগ্রেসের কিছু লোক সিপিএমের দালালি করছেন। বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁদের থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।” |
|
|
|
|
|