গুগলকে তাদের বিভিন্ন সাইট থেকে ৩৫৮টি বিষয় সরাতে বলেছিল কেন্দ্র। জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ওই বিষয়গুলি প্রকাশ হয়েছে।
গুগলের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’-এ আজ দাবি করা হয়েছে, মোট অনুরোধের প্রায় ৫১% সম্পূর্ণ বা আংশিক মানা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের সমালোচনা করায় ২৫৫টি বিষয় সরাতে বলা হয়। বিষয়গুলির ২৩৬টি অর্কুটে ও ১৯টি ইউটিউবে ছিল। অবমাননার জন্য ২৯টি, গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ২০টি, নকল করায় ১৪টি, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য ৮টি, অশালীন বিষয়বস্তুর জন্য ৩টি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ১টি বিষয় সরাতে বলা হয়। গত কাল গুগল, ফেসবুক বা ইয়াহু-র মতো সাইটের লেখায় নিয়ন্ত্রণ চেয়ে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী কপিল সিব্বল নির্দেশ দেন যে এই সব সাইটে ‘আপত্তিকর’, ‘প্ররোচনামূলক’ বা ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য প্রকাশ বন্ধ করতে হবে।
গুগল ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, এই তালিকায় সব চেয়ে উপরে অর্কুট। সেখান থেকে ২৬৪টি বিষয় সরাতে অনুরোধ করা হয়। রাজ্য ও স্থানীয় স্তরের আইন বলবৎকারী সংস্থাগুলি অনেক সময় ইউটিউব থেকে ভিডিও সরাতে অনুরোধ করে বলে রিপোর্টে দাবি। এর মধ্যে নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে, এমন ভিডিও রয়েছে। তবে এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে ২৩৬টি সমালোচনামূলক মন্তব্য অর্কুট থেকে সরানোর অনুরোধ মানা হয়নি বলে গুগল সূত্রে জানানো হয়েছে। গুগ্লের দাবি, ওই বক্তব্যগুলি তাদের সংস্থার নিয়ম বা আইনবিরুদ্ধ নয়।
গুগল জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার পরিষেবা ব্যবহারকারী সম্পর্কে সরকার তথ্য জানতে চেয়েছিল। তার মধ্যে প্রায় ৭০% অনুরোধই মানা হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। গুগ্লের দাবি, তদন্তের জন্য প্রতি বছরই পরিষেবা ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য জানানোর অনুরোধ আসে। পরিষেবা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ায় অনুরোধের সংখ্যাও বাড়ছে। |