|
|
|
|
‘শপিং হাব’ উত্তরে, বরাদ্দ ৫০ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বিধান মার্কেটকে অত্যাধুনিক ‘শপিং হাব’ হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার বিধান মার্কেটে ব্যবসায়ী সমিতির সভায় মন্ত্রী জানিয়ে দেন শুধু কথায় কথা নয়। ওই কাজের জন্য আর্থিক সংস্থান করেছেন। গৌতমবাবু জানিয়ে দেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইতিমধ্যে বিধান মার্কেটের আধুনিকরণের কাজে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই সেই টাকা খরচ করতে হবে। তাই ব্যবসায়ীরা এগিয়ে না আসলে সেই কাজ সম্ভব নয়। অতীতে বারবার ওই কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এ বার সেই কাজ বাস্তবায়িত করতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান। পুরসভা, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)-কে নিয়ে ওই কাজ করা হবে। গৌতমবাবু বলেন,“ছোট বড় যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা এখানে কারবার করেন কাউকেই সরানো হবে না। শেঠ শ্রীলাল মার্কেট বাদ দিলেও সব্জি বাজার নিয়ে অন্তত ৩ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। সবকিছু ভেবেই এই বাজারের আধুনিকরণ করা হবে। পরিকল্পনা মাফিক অত্যাধুনিক বাজার গড়ে তোলা হবে। শুধু রাজ্যেই নয় দেশের মধ্যে তা একটা নজির হয়ে থাকবে। স্থাপত্যের দিক থেকেও মানুষের কাছে তা দর্শনীয় হবে। শুধু বলছি না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ওই কাজের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” তিনি জানিয়ে দেন, উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিতে যে পরিকল্পনাগুলি নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বিধান মার্কেটের কাজটি অন্যতম। পরবর্তীতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফেও এই পরিকল্পনায় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক খোকন গুপ্ত, সভাপতি বাদল গুহরাও জানান, তাঁরাও চান দ্রুত ওই মার্কেটের আধুনিকরণের কাজ হোক। ১৯৮০ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাজারের প্রায় ৫০০ দোকান পুড়ে গিয়েছিল। বহু ব্যবসায়ী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাজারের যা পরিস্থিতি যে কোনও সময় এখনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই তাঁরা চান দ্রুত পরিকল্পনা মাফিক এই বাজার গড়ে তোলা হোক। এ দিন সভায় উপস্থিত পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, পুরসভার চেয়ারম্যান এসজেডিএ সদস্য নান্টু পাল। নান্টুবাবু ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। এ ব্যাপারে উদ্যোগী তিনিও। মেয়র জানান, বর্তমানে বিধান মার্কেটের যে পরিস্থিতি তাতে বাজার জতুগৃহ হয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা দোকান ছেড়ে রাস্তার মধ্যে পসরা রেখে কারবার করছেন। পার্কিংয়ের জায়গা নেই। কাউকে উচ্ছেদ করতে আমরা চাই না। পরিকল্পনা মাফিক এই বাজারের আধুনিকীকরণ চাই। ব্যবসায়ীদের সে মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।” বাম জমানায় তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের আমলে বিধান মার্কেটের আধুনিকীকরণে বারবার আলোচনা হয়েছেবর্তমানে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রবাবু বলেন, “কলকাতায় নিউ মার্কেট যদি পরিকল্পনা মাফিক গড়ে উঠতে পারে তা হলে শিলিগুড়ির বিধানমার্কেটে তা হবে না কেন? ব্যবসায়ীরা চাইলে এখানেই আধুনিক বিশ্বমানের বাজার হতে পারে। যেখানে প্রায় ৩ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। অভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে প্ল্যান করানো হবে। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা বসে ঠিক করবেন। ব্যবসায়ীদের কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।” কী ভাবে অত্যাধুনিকরণের কাজ হবে? উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, কয়েক দফায় বাজারের বিভিন্ন অংশের নির্মাণকাজ হবে। কাজ চলার সময় কারবার যাতে বন্ধ না রাখতে হয় সে জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের রাস্তার ধারে, মেলার মাঠে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর করা হবে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সম্মতি পেলে শ্রীঘ্রই পুরসভা এবং এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ‘হাই পাওয়ার কমিটি’ গঠন করা হবে। |
|
|
|
|
|