|
|
|
|
অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবি মাড়গ্রামের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
মোটরবাইক বা সাইকেল থেকে পড়ে পাওয়ার মতো ছোটখাটো দুর্ঘটনায় প্রায়ই ঘটে মাড়গ্রাম থানার বুধিগ্রাম থেকে বেসিকমোড় পর্যন্ত রাস্তায়। রাস্তা বেহালের জন্য এই দুর্ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতিনিয়তই রাস্তা বেহালের জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বুধিগ্রাম অঞ্চল, সাহাপুর অঞ্চলের প্রায় ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি বেসিকমোড়-বুধিগ্রাম পাকা সড়কে যাত্রী বোঝাই বাস উল্টে জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন যাত্রী। বর্ষার সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
লাহা গ্রামের মিঠুন মাল, ভরত পাল, বালিয়াডাঙার সেন্টু শেখরা বলেন, “বুধিগ্রাম থেকে বেসিকমোড় পর্যন্ত পাকা রাস্তায় পাথর বলতে কিছুই নেই। জায়গায় জায়গায় খানাখন্দে ভরা রাস্তায় বাস, মোটরবাইক, সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা তো যায় না। গরুরগাড়ি চলাচলেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে।” রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বুধিগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দারা তারাপীঠে পথ অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ওই রাস্তার উপরে বুধিগ্রাম হাইস্কুল, লাহা নিস্পুরুণ হাইস্কুল, কড়কড়িয়া হাইস্কুল-সহ ৩০টির বেশি প্রাথমিক স্কুল পড়ে। বুধিগ্রাম ও সাহাপুর দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতও রয়েছে। বালিয়াডাঙা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষা খাতুন, নুর হোসেনরা রোজ ঝুঁকি নিয়ে টিউশন এবং কলেজে যেতে রামপুরহাটে যাতায়াত করেন। তাঁদের ক্ষোভ, “রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হাতে সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরলেও সময় মতো কলেজে বা টিউশনে পৌঁছতে পারি না।” রাস্তার জন্য বুধিগ্রাম রুটে চলাচলকারী বাসগুলি মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখতে বাধ্য হন বাস মালিক সমিতি ও বাসকর্মচারী সমন্বয় কমিটি। এই রাস্তা দিয়ে মুর্শিদাবাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু রাস্তা খারাপের জন্য অনেকে ঝুঁকি নিতে চান না। বুধিগ্রাম থেকে বেসিকমোড় পর্যন্ত ৯ কিমি রাস্তাটি জেলা পূর্ত দফতরের (সড়ক) সাঁইথিয়া বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
জেলা নির্বাহী বাস্তুকার জাহ্নবী কোনার বলেন, “আমরা সমস্যার কথা জানি। বর্ষার আগে কিছু কাজ হয়েছিল। কিন্তু অতিবর্ষণে পাথর ধুয়ে যায়। রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাবে সংস্কারের জন্য মাস তিনেক আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার অনুমোদন মেলেনি।” |
|
|
|
|
|