|
|
|
|
মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা, ইলামবাজারে অভিযুক্ত টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললো অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। ঘটনাটি ইলামবাজারের কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের। বুধবার টিএমসিপি-র কর্মীরা কলেজের গেট আটকে রেখে বিদ্যার্থী পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এমন কি তাদের মারধর করে মনোনয়ন পত্র তুলতে দেওয়া হয়নি বলে বিদ্যার্থী পরিষদের নালিশ। পরে তাঁরা ইলামবাজার থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন। এ দিন মনোনয়ন পত্র তোলার দিন ছিল। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হবে। শুক্রবার নাম প্রত্যাহার করার দিন। ছাত্র সংসদের ১২টি আসন। গত বছর টিএমসিপি এবং এসএফআই ৬টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। রাজ্যের পালাবদলের পরে এ বার এসএফআই এই কলেজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বলে ঠিক করেছে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ তরফে বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য চিত্তরঞ্জন সিংহের অভিযোগ, “টিএমসিপি এই সুযোগে আমাদের নির্বাচন থেকে হঠাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার সময় ছিল। কিন্তু বেলা ১১টা থেকে থেকে টিএমসিপি’র কর্মীরা গেট আটকে থাকে। তারাই মারধর করে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। এমন কি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও তারা আমাদের কর্মীদের উপরে চড়াও হয়।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শতদল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “ওই কলেজে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। টিএমসিপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের সংগঠনের ইলামবাজার আঞ্চলিক কমিটি তাই ওই কলেজে এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা সাংগঠনিক ব্যার্থতা ঢাকার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তারা আসলে নির্বাচনে লড়ার মতো প্রার্থী পায়নি।” কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব দেবাশী বলেন, “কলেজে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা নিয়ে কোনও গোলমাল হয়নি। ১৪ টি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই সমস্ত কাজ হয়েছে।” |
|
|
|
|
|