বিল জমা দেওয়া সত্ত্বেও টেলিফোনের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে বিএসএনএলের কাটোয়া শাখার দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন দাঁইহাটের বাসিন্দারা। গ্রাহকদের এক প্রতিনিধি দল বুধবার বিকেলে টেলিফোন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্য দিকে, দাবি জানাতে গিয়ে বামপন্থী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যেরা বিএসএনএল আধিকারিকদের অফিস ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএসএনএলের কাটোয়া মহকুমা আধিকারিক রূপনাথ সোরেন জানান, দফতর ভাঙচুর করার ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
টেলিফোন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁইহাট এক্সচেঞ্জের প্রায় ৭৫০ জন গ্রাহক বকেয়া বিল মিটিয়ে দিলেও তাঁদের বাড়িতে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিল মেটানোর রসিদ নিয়ে এসে বুধবার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই গ্রাহকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা ফের ফোনের সংযোগ দেওয়ারও আবেদন জানান। বিএসএনএলের গ্রাহক শেখ মহম্মদ নজিবুদ্দিন, খোন্দেকার রওসানদের অভিযোগ, “আমাদের বিল বাকি নেই। আধিকারিকদের বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও প্রতিকার হয়নি। ফোনের সংযোগ দেওয়ার জন্য বললে বলা হত, বিল বাকি আছে।” সুদীপ মুখোপাধ্যায় নামে এক গ্রাহকের কথায়, “আমার সব বিল মেটানো আছে। তা সত্ত্বেও বলা হচ্ছে, ২০১০ সালের অগস্ট মাসের ৩৫৬ টাকা বাকি রয়ে গিয়েছে। সেই বিল মেটানোর রসিদও জমা দিয়েছি। তবু ফোনের সংযোগ পাচ্ছি না।”
এ’ধরনের সমস্যার কারণ কী? বিএসএনএলের কাটোয়া মহকুমার আধিকারিক রূপনাথবাবু কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁর জবাব, “পোস্ট অফিসে জমা দেওয়া গ্রাহকদের বিল আসেনি বলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে।”
অন্য দিকে, এ দিনই অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রূপনাথবাবুর কাছে গিয়েছিলেন বামপন্থী সংগঠন বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতারা। কিন্তু দাবি পেশ করার আগেই আধিকারিকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেতারা। সেই সময় তাঁরা টেবিলের কাচ ভাঙচুর করেন ও চেয়ার উল্টে দেন বলে অভিযোগ। রূপনাথবাবুর কথায়, “বর্ধমান জেলা আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” ওই সংগঠনের সম্পাদক প্রবীর দাসের অবশ্য দাবি, “এ ধরনের কোনও ঘটনাই হয়নি। অভিযোগ মিথ্যা।” |