কাটোয়ার কোশিগ্রাম ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা বাতিলই করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ-কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কৈফিয়তও তলব করা হয়েছে।
পরীক্ষা বাতিলের কারণ কী? উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ব্যাখ্যা, এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্মই এখনও পূরণ হয়নি। তার আগে কোনও ছাত্র বা ছাত্রীই উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী বলে গণ্য হতে পারেন না। যখন তাঁরা পরীক্ষার্থী হিসেবেই গণ্য হচ্ছেন না, তখন তাঁরা পরীক্ষাও দিতে পারেন না। তাই নির্ধারিত সময়ের আগে কাটোয়ার ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ যে-প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিয়েছেন, তা বৈধ বলে গণ্য হতে পারে না। ফর্ম পূরণের পরে ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের আবার প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে।
সংসদ-কর্তৃপক্ষ এ দিন জানান, ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীবনবিজ্ঞান, পুষ্টিবিদ্যা ও ভূগোল এই পাঁচটি বিষয়ের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিয়েছেন কোশিগ্রাম ইনস্টিটিউশনের পড়ুয়ারা। পাঁচটি বিষয়ের জন্যই নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। আর যে-হেতু গোটা রাজ্যেই অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়, তাই ওই পাঁচটি বিষয়ে সব পরীক্ষার্থীই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দেবেন নতুন প্রশ্নপত্রে। ২০১২-র ৪ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ওই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিতে হবে। কোশিগ্রাম ইনস্টিটিউশনের পড়ুয়াদের হয়রানি তো স্কুল-কর্তৃপক্ষের জন্যই। স্কুল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সংসদ? সংসদ-কর্তৃপক্ষ জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন তাঁরা সময়ের আগে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিলেন, সেই ব্যাপারে তাঁর কৈফিয়ত চাওয়া হবে। এক সংসদকর্তা জানান, প্রধান শিক্ষকের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না-হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |