ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন তোলা নিয়ে সংঘর্ষ হল এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে। সোমবার গলসি কলেজে এই ঘটনায় তাদের ছয় সমর্থক জখম হন বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। কলেজ সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আঘাত লাগে অধ্যক্ষ এবং এক শিক্ষকেরও। পুলিশ চার জনকে আটক করেছে।
এ দিন সকালে কলেজে এসএফআই কর্মী-সমর্থকেরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে ঘটনার সূত্রপাত। কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সাইদুল হকের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সমর্থকেরা বাধা দেওয়ার জন্য আগে থেকে তৈরি ছিল। এসএফআই সমর্থকেরা কলেজে ঢোকার পরেই তাঁদের উপর চড়াও হয় তারা। কলেজের অধ্যক্ষ কুমারেশ চট্টোপাধ্যায় জানান, কলেজে ২৩ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন। ৮ তারিখ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই এ দিন মনোনয়ন তুলতে যান কিছু ছাত্র। তিনি বলেন, “কলেজে নিজের ঘরে বসেছিলাম। হঠাৎ এক ছাত্রী খবর দেন, কয়েক জন বহিরাগতকে সঙ্গে নিয়ে কলেজের কিছু ছাত্র অন্য এক দল ছাত্রের উপরে চড়াও হয়েছে। সংঘর্ষ বেধে গিয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যাই। মারপিট থামাতে গিয়ে আমার হাতে আঘাত লাগে। আমাদের শিক্ষক সাগর মুখোপাধ্যায় হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে স্টাফ রুমে ঢুকে তাঁকেও মারধর করা হয়। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।” সাইদুল হকের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। কলেজে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিএমসিপি-র বর্ধমান জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র অবশ্য বলেন, “বহিরাগতেরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের কোনও সমর্থক বা কর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ জড়িত থাকে, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও গলসি থানার পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন টিএমসিপি সমর্থক ও এক জন এসএফআই সমর্থককে আটক করেছে। ওসি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’দল ছাত্রের মধ্যে সামান্য সংঘর্ষ হয়েছে। পরস্পরকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ ঠেকিয়েছে। তবে কোনও পক্ষই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেনি।” |