কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হল বর্ধমান রাজ কলেজে। আট ছাত্র আহত হয়েছেন। এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’পক্ষেরই অভিযোগ, অপর পক্ষ তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে।
হাসপাতালে থাকা বি কম প্রথম বর্ষের সোমনাথ দে-র অভিযোগ, ‘‘আমরা কলেজের সোশ্যাল নিয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎই এক দল ছাত্র আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলতে শুরু, ‘তোরা সোশ্যাল নিয়ে আলাদা কী আলোচনা করছিস? সোশ্যাল আমরাই করব।’ এর পরে ওরা আমাদের মারতে শুরু করে।” পাঁচ তৃণমূল সমথর্র্কের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
যাঁদের বিরুদ্ধে ওই হামলা চালানোর অভিযোগ, তাঁদেরই এক জন সন্তোষ সিংহের পাল্টা অভিযোগ, “আমরা সোশ্যাল নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সুবায়ু সাহা নামে এক বহিরাগত তৃণমূল সমর্থক কয়েক জন বহিরাগতকে নিয়েই স্টলের কাজ করা ছাত্রদের উপরে হামলা চালায়। দু’জন আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী বলেন, ‘‘দু’দল ছাত্রের মধ্যে একটু গোলমাল হয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে তাতে সোশ্যালের কোনও সমস্যা হবে না। আশা করি শান্তিপূর্ণই হবে।” তিনি জানান, জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার প্রতিলিপি বর্ধমান থানার আইসি-র কাছে প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। তবে বর্ধমান থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রদের একাংশ একটি অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অধ্যক্ষ আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। কলেজের ভিতরে মারামারি হলে অধ্যক্ষের অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারি না।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বর্ধমান জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ পেয়েছি। বড় মাপের সংঘর্ষ হয়নি। তবে কেন এমন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে।” |