ক্যানিংয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে জখম ২
লেরই নেতা-নেত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রহৃত দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার পারগাঁথি মুখার্জিপাড়ার কাছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকলে, দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।”
পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় জীবনতলার কালিকাতলা পঞ্চায়েতের ফুলবাড়িতে দলীয় পথসভা সেরে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা আইনুল লস্কর এবং মুর্শিদা জমাদার। অভিযোগ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুখার্জিপাড়ার কাছে ১০-১৫ জন যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বাইক থেকে পড়ে যান দু’জনে। আইনুলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিপদ বুঝে মুর্শিদা পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও হামলাকারীরা চড়াও হয়। লাঠি-রড দিয়ে মুর্শিদাকেও বেধড়ক মারধর করে তারা। প্রহৃত আইনুল এবং মুর্শিদাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইনুলকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এ দিন হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে মুর্শিদা বলেন, “আমাদেরই দলের কিছু সমর্থক আমাদের মেরেছে। ওদের হাতেপায়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাই। ওরা শাসাতে থাকে পার্টি ছাড়তে হবে। পার্টি ছাড়ব বলায়, রেহাই দেয়।” রাতেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জীবনতলা থানায়।
তৃণমূল নেতা স্বপন বৈদ্যর অভিযোগ, “আমাদের দলের নেতা শৈবাল লাহিড়ীর মদতপুষ্ট লোকজনই এই কাজ করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে শৈবালবাবু বলেন, “ঘটনার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এলাকার বাইরে আছি। আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই নেই। দলের কেউ জড়িত থাকলে দল ব্যবস্থা নেবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.