বিএসএফের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের গোলমালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের শীতলখুচি এলাকা। শনিবার সকালে শীতলখুচি বাজারে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের বাদানুবাদ থেকে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে উঠলে বিএসএফের জওয়ানেরা শীতলখুচি বাজার চত্বরে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় ১০ টি দোকানও।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিএসএফ জওয়ানরা লাঠিচার্জ করায় এক স্কুল ছাত্র-সহ কমপক্ষে ২০ জন ক্রেতাবিক্রেতা জখম হন। শুক্রবার সন্ধেয় গাঁজা পাচারকারী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জেরে গ্রামবাসী-বিএসএফের সংঘর্ষে জওয়ানরা শুন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। উত্তেজিত জনতাও বিএসএফের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তাতে ২ জওয়ান জখমও হন। এ দিন সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শীতলখুচি বাজারে কেনাকাটা করতে আসা দুই বিএসএফ জওয়ানকে ‘বয়কট’ করতে হবে বলে দাবি তোলেন গ্রামের একাংশ। তা নিয়ে দু’পক্ষের কথাকাটি হয়। |
জওয়ানদের হামলার পরে পুলিশ প্রহরা। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
ওই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে ২৫-৩০ জন বিএসএফের জওয়ানদের একটি দল শীতলখুচি বাজারে ঢুকে নির্বিচারে লাঠিচার্জ শুরু করলে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেছেন, “বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বিএসএফের দুই জওয়ানের সঙ্গে কিছু লোক গোলমাল বাঁধান। পরে গাড়ি নিয়ে বিএসএফের অন্য জওয়ানরাও ঘটনাস্থলে আসেন। বিএসএফ-সহ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।”
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পুলিশ, মহকুমা প্রশাসন, ব্যবসায়ী সমিতি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে থাকছেন। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “আজই ওই বৈঠক হবে। আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে।” শীতলখুচি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিউলি প্রসাদ বলেন, “দুই জওয়ানকে কেনাকাটা করতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে তাঁদের চাহিদামতো জিনিস বিক্রি করতে সবাইকে বলেছি। তারপরেও বিএসএফের অন্তত ৩০ জন জওয়ান আচমকা বাজারে ঢুকে নিরীহ ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করায় ২০ জন জখম হন।” |