মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৯ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে যে ব্যবধানে জিতেছিলেন, উপ নির্বাচনে তা অক্ষুণ্ণ থাকবে কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রাজ্যবাসী। আজ, রবিবার জানা যাবে সেই উত্তর।
পাশাপাশিই, তৃণমূল শিবির বুঝতে পারবে, শাসকদল হিসাবে ‘ইতিবাচক ভোট’ চেয়ে তারা কতটা ‘সফল’। কারণ, গত লোকসভা ভোটে তারা ছিল বিরোধী আসনে।
আজ সকাল ৮টায় দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হবে। ওই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হয়েছে গত বুধবার। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ১৯০২টি বুথে ভোট পড়েছে ৫১.৮৫ শতাংশ। ভোটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দু’ জনতৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বক্সী এবং বামফ্রন্ট প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রতবাবু রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। ঋতব্রত সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
দক্ষিণ কলকাতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘খাসতালুক’। ওই কেন্দ্র থেকে পর পর ছ’বার জিতে সাংসদ হয়েছেন মমতা। এ বার বিধানসভা ভোটে ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভাতেই তৃণমূল জিতেছে। সে দিক থেকে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তৃণমূলই এগিয়ে আছে বলে মনে করছে বামেরাও। তারা চিন্তিত তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান নিয়ে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় শনিবার বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তার প্রতি জনসমর্থন উত্তরোত্তর বেড়েছে। গত ছ’ মাসে সব ক’টি ভোটেই তৃণমূল জিতেছে। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও তৃণমূল জিতবে বলে আশা করছি। জনগণ আমাদের ভাল কাজকে সমর্থন করছেও। তাই দক্ষিণ কলকাতায় প্রাপ্ত ভোটের হার বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।” বস্তুত, তৃণমূল শিবিরের আশা, সুব্রতবাবু তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন। |