এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ‘অপরাধে’ কাতার থেকে দেশে ফেরত পাঠনো হল দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক এক সাংবাদিককে। ওই একই কারণে চাকরি থেকেও ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁকে। একটি আরবি চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন ওই সাংবাদিক। প্রসঙ্গত, এইচআইভি আক্রান্ত বিদেশি নাগরিকদের কাতারে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করে ওই সাংবাদিকের সমর্থনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার (আইএলও) দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সংবাদসংস্থা এএফপিকে ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, চ্যানেলের হয়ে কাজ করার জন্য কাতারে থাকার অনুমতি (রেসিডেন্স পারমিট) প্রয়োজন ছিল তাঁর। সেই কারণে কয়েক মাস আগে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। কিন্তু তখন তাঁকে এইচআইভি-র কথা জানানো হয়নি।
দিন কয়েক আগে একটি ‘মেডিক্যাল কার্ড’-এ সমস্যার কথা জানতে পারেন তিনি। পর দিন তাঁকে ডেকে পাঠায় চ্যানেলটি। প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কয়েদখানায়। পর দিনই তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত পাঠনো হয়। ওই সাংবাদিকের ক্ষোভ, এর পর চ্যানেলের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁর দাবি, ওই চ্যানেলের জোহানেসবার্গের কোনও অফিসে কাজ দেওয়া হোক তাঁকে। এ বিষয়ে চ্যানেলের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা সকলকেই সমান সুযোগ দিই। কিন্তু কোনও দেশের অভিবাসন আইন মানতে আমরা বাধ্য।”
কাতারের এই অভিবাসন আইনের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারা জানিয়েছে, ওই সাংবাদিকের পক্ষে কাতারে গিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সম্ভব নয়। তাই আইএলও-য় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিদের কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
|
লস্করকে নিয়ে ভিডিও, ধৃত পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
লস্কর ই তইবাকে সাহায্য করার অপরাধ কবুল করল পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন এক যুবক। দোষ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছর কারাদণ্ড হওয়ার কথা। জুবির আহমেদ নামে ২৪ বছরের ওই যুবক লস্করের কার্যকলাপ সম্পর্কে একটি প্রচারমূলক ভিডিও তৈরি করেছিল। জুবিরের দাবি, লস্কর শীর্ষ নেতা হাফিজ মহম্মদ সইদের ছেলে তালহা সইদের কথা মতো সেই ভিডিও সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপলোড করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে সে উডসব্রিজে তার বাড়ি থেকে পাকিস্তানে তালহার সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করেছিল বলেও শুনানির সময় জানিয়েছে।
লস্করকে ‘মদত দেওয়ার’ অভিযোগে জুবিরকে কিছু দিন আগে ধরে মার্কিন গোয়েন্দা। গত কাল ভার্জিনিয়া আদালতে বিচারকের সামনেই দোষ কবুল করে জুবির। ২০১২-র ১৩ এপ্রিল তার সাজা ঘোষণা হবে। যে অপরাধে জুবিরকে ধরা হয়েছে, তাতে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা হতে পারে। মার্কিন অ্যাটর্নি নেল এইচ ম্যাকব্রিজ বলেন, “লস্করের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজেদের কট্টর অবস্থান সম্পর্কে প্রচার চালায়। তরুণদের এই কাজে নিয়োগ করে। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য টাকা তোলে।” |