সংস্কৃতি যেখানে যেমন..
ধ্রুপদী সঙ্গীত
পাত্রসায়রের বালসি গ্রামে একটি ধ্রুপদী সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হয়ে গেল। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে সারা রাত্রি ব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে।বালসির ব্যাঙ্ক মোড়ের একটি হলঘরে। এই সঙ্গীত আসরের আয়োজন করেছিল স্থানীয় নাইটএঙ্গেল অ্যাসোসিয়েশন ও মূর্চ্ছনা সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়। আয়োজনকদের তরফে ওই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অসিত রায় জানান, ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের পাতিয়ালা ঘরানার শিল্পী ব্রজেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী জগন্নাথ দাশগুপ্ত, প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য-সহ বহু শিল্পী উপস্থিত ছিলেন।

সঙ্গীতানুষ্ঠান
সঙ্গীতাচার্য দেবব্রত সিংহ ঠাকুরের ৭৩ তম জন্মদিবস এবং জাতীয়স্তরে তাঁর গানের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি মনোরম সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়ে গেল। বিষ্ণুপুর গোপেশ্বর সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে রবিবার এই অনুষ্ঠানটি হয়। আয়োজন করেছিল গোপেশ্বর সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় ও বাহাদুর খাঁ স্কুল অব মিউজিক। সভাপতিত্ব করেন গল্পকার শরদিন্দু কর। সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন জগন্নাথ দাশগুপ্ত, নির্মল রায়, শিবপ্রসাদ গোস্বামী, সুব্রত হাজরা প্রমুখ শিল্পীরা।

ছাত্র-যুব উৎসব
শুরু হতে চলেছে বাঁকুড়ার পুর ছাত্র-যুব উৎসব। আজ শনিবার থেকে দু’দিন ধরে এই অনুষ্ঠান বাঁকুড়া সারদামণি মহিলা মহাবিদ্যাপীঠে হবে। বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “বয়সের ভিত্তিতে দু’টি বিভাগে প্রতিযোগিতাগুলি হবে। এখানে বসে আঁকো, সঙ্গীত, নাচ এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতা হবে।

অনুষ্ঠান
শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে আদ্রায়। আজ শনিবার, এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মদিন। আদ্রার একটি ক্লাব কয়েক বছর আগে ক্লাব প্রাঙ্গণে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি স্থাপন করে। শনিবার সকালে সেই মূর্তিতে মাল্যদান করার পরে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হবে। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শিল্পীর উপহার
সুপিরিতে রাষ্ট্রপতি ভবন।
‘জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা।’ রবীন্দ্রনাথের এই জীবন দর্শনকে প্রমাণ করেছেন রামপুরহাটের তরুণ শিল্পী প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দি। তিনি একটি সুপুরির উপরে হুবহু রাষ্ট্রপতি ভবন ও একটি খেজুরের বীজের উপরে দুর্গার মহিষাসুর বধ চিত্র এঁকেছেন জল রং দিয়ে। ওই শিল্পকর্ম দু’টি ২৮ নভেম্বর বিকেলে কলকাতায় রাজভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। প্রাণকৃষ্ণবাবুর দাবি, “রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সুপুরির উপরে আঁকা রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রতিকৃতি রাখা হবে দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে। ওই শিল্পকর্ম দু’টির জন্য ১০ হাজার টাকা আমাকে দেওয়া হয়েছে।” এর আগে তিনি একটি মাত্র মসুর ডালের উপরে জল রং দিয়ে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের প্রতিকৃতি রেলমন্ত্রীর হাতেই তিনি সেটা তুলে দিয়েছিলেন। সেটি এখন দিল্লির রেলভবনে রয়েছে। ওই একই পদ্ধতিতে আঁকা লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতি রয়েছে লোকসভার মিউজিয়ামে এবং তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর আঁকা প্রতিকৃতি রয়েছে কলকাতার রাজভবনে। তাঁরা প্রাণকৃষ্ণবাবুকে শংসাপত্রও দিয়েছেন। মসুর ডালের উপরে আঁকা প্রতিকৃতি দেওয়া হয়েছে তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই প্রাণকৃষ্ণবাবু ছবি আঁকার প্রতি আসক্ত হন। হাতে খড়ি উমাপ্রসন্ন মজুমদারের কাছে। পরে স্থানীয় শিল্পী কাজিলাল সিদ্দিকী ও প্রতাপকান্ত পণ্ডিতের কাছে তালিম নিয়েছেন। বর্তমানে রামপুরহাটের একটি ছবি আঁকার স্কুল চালান তিনি। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন পোস্ত দানার মতো সূক্ষ জিনিসও। যৌথ ভাবে তিনি কলকাতায় চারটি ও দেরাদুনে একটি ছবি প্রদর্শনী করেছেন।

গ্রন্থ প্রকাশ
‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,/... তখন আমায় নাই বা মনে রাখলে।’ কিন্তু মাত্র ৪৮ বছরে ক্যান্সারে প্রয়াত হওয়া রামপুরহাট কলেজের বাংলা শিক্ষক তথা আপাদমস্তক সংস্কৃতি কর্মী প্রত্যয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোলা যাবে না। ‘আধুনিক বাংলা কবিতায় দায়বদ্ধতার প্রকৃতি’ নামে প্রত্যয়বাবুর বন্ধুদের উদ্যোগে সম্প্রতি কলকাতার আশাদীপ প্রকাশন সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যয়বাবু একটাও কবিতা লেখেননি। কিন্তু তিনি কবিতা ভাল বাসতেন। তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী থেকে জানা গিয়েছে, মুড়ির ঠোঙার কাগজে কবিতা দেখলে তিনি যত্ন সহকারে বড়তেন। বাংলা সাহিত্যের বর্ষীয়ান কবি সিউড়ির বাসিন্দা কবিরুল ইসলামের মন্তব্য, “প্রত্যয় কবিতা যাপন করেন।” প্রত্যয়বাবুর বন্ধু হেতমপুর কলেজের শিক্ষক বিশিষ্ট কবি তপন গোস্বামী জানিয়েছেন, প্রত্যয়ের ইচ্ছে ছিল ‘আধুনিক বাংলা কবিতার মার্কসবাদী সমালোচনা’ নিয়ে কাজ করা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য নথিভুক্তও হয়েছিল প্রকল্পটি। কিন্তু বছর ২৭ এপ্রিল তিনি মারা যান। তপনবাবুর বিশ্বাস, “প্রকাশিত গ্রন্থটি কবিতা প্রেমী পাঠক ছাড়াও বাংলা নিয়ে যে সব ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষা করতে চান তাঁদের জন্যও প্রত্যয়ের গ্রন্থটি খুবই কাজে লাগবে।”

মানসীর সন্ধানে
প্রায় ১ ঘণ্টার নাটকে ১৫ মিনিটের সংলাপ। বাকি সময় জুড়ে ছিল গ্রামীণ সংস্কৃতির টুকরো টুকরো কোলাজ। সেই সঙ্গে ছিল কোরিওগ্রাফি ও আবহ সঙ্গীত। যা ৬ শতাধিক দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছে পার্থ গুপ্ত রচিত ও নির্দেশিত ‘মানসীর সন্ধানে’ নাটকটি। বোলপুর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ইলামবাজারের দ্বারন্দা গ্রামে বীরভূম ব্লসম থিয়েটার প্রযোজিত ওই নাটকটি ২ নভেম্বর বোলপুরের গীতাঞ্জলি হলে এলিট থেকে শুরু করে খেতমজুর এমন কী আদিবাসীরাও হাজির হয়েছিলেন। ওই নাটকটি সব ধরনের দর্শকদের মনের খোরাক মিটিছে বলে মনে করছেন ওই দিন উপস্থিত বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মনিপুর ইম্ফলের বাসিন্দা পার্থবাবুর বর্তমান শিক্ষক রতন থিয়াম। তাঁর বক্তব্য, “পড়াশোনা করা মানুষদের নিয়ে নাটক করার চাইতে মজুরদের প্রশিক্ষিত করে নাটক মঞ্চস্থ করা খুবই কঠিন কাজ। পার্থ সেখানেই সফল।”

সংক্ষেপে
যোদ্ধা সিধু-কানহুর নাম সবার জানা। দীর্ঘদিন ধরে জুন মাসে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে ওই দুই যোদ্ধার স্মরণে রাজ্য জুড়ে হুল উৎসব পালিত হয়ে আসছে। ইংরেজরা প্রথমে সিধুকে তাঁর নিজের গ্রামেই ১৮৫৫ সালে ১ ডিসেম্বর ফাঁসি দেয়। তাই ওই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে ১ ডিসেম্বর রাজনগর ব্লকের বাঁশবোনা গ্রামে স্থাপন হয়েছে প্রায় ৬ ফুট উচ্চতায় সিধুর মূর্তি। ওই জন্য ২ দিন অনুষ্ঠান হয়েছে। উদ্যোক্তা রাজনগর ব্লক তৃণমূলের আদিবাসী মাজ্হী গাঁওতা সংস্থা।

দুবরাজপুরে ছাত্র-যুব উৎসব
দুবরাজপুর পুরসভা ও যুব কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে পুর ছাত্র-যুব উৎসব শুরু হল শুক্রবার। পুরসভার সভাকক্ষে বিভিন্ন বিভাগের আবৃত্তি, গান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে সোমবার পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে খুদেরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.