বহরমপুর শহরে পথচারীদের হাঁটার মতো কোনও পথ আজ আর নেই বললেই চলে। ওই সব পথ দখল করেছে দোকানঘর থেকে বাড়িয়ে দেওয়া লোহার রডে টাঙানো পণ্য সম্ভার কিংবা তার বিজ্ঞাপন। বহরমপুর শহরের মধ্যবর্তী এলাকার টেক্সটাইল মোড় থেকে কাদাই মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথটি ব্যস্ততম পথগুলির অন্যতম। ওই পথে রয়েছে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যালয়, কাশীশ্বরী উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল। অথচ ওই ব্যস্ততম রাজপথের দু-পাশের দোকানঘর থেকে বাড়িয়ে দেওয়া লোহার রডে ঝুলছে পণ্য সম্ভার। উপরের মতো নীচে রাস্তাতেও রাখা হয়েছে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী। ফলে ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ পথচারী, সবাইকেই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভয়ে ভয়ে ওই এলাকা পার হতে হয়। রাস্তা আটকে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করার ওই অব্যবস্থাটুকু দূর করা পুরসভা ও প্রশাসনের পক্ষে কি সত্যিই খুব দুরূহ কাজ? |
কেবল জগধাত্রী পুজোর সময়টুকুতেই কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে চ্যালেঞ্জ মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি পথচারীদের চলালচলের মতো চওড়া থাকে। পুজো শেষ হলে ফের ওই রাজপথের অনেকটা অংশ দু’ পাশের দোকানঘরের পেটে ঢুকে যায়। আস্থায়ী ওই দোকানঘরের জবরদখলের সঙ্গে রয়েছে রাস্তায় আটকে যত্রতত্র দু’ চাকা ও চার চাকার গাড়ি রেখে সর্ংকীণ রাজপথকে সর্ংকীণতর করে তোলার মতো দুঃসহ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। অথচ ওই পথের মধ্যেই রয়েছে দু’টি প্রাচীন বালিকা বিদ্যালয়, মৃণালিনী এবং লেডি কারমাইকেল। অন্তত ছাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা দিকে তাকিয়ে পুরসভা ও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করুক সেই অনুরোধ জানাই। |
রঘুনাথগঞ্জের বেশ কয়েকটি মোড়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রনের জন্য ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ও মিঞাপুরে নির্মীয়মাণ রেলের ওভারব্রিজের দু’ পাশে লিঙ্ক রোড তৈরি না করায় প্রতি দিন লক্ষাধিক মানুষকে যানজটে ভুগতে হচ্ছে। লিঙ্ক রোড নির্মাণ না করায় রঘুনাথগঞ্জ শহরে ঢোকার মুখে মিঞাপুরে রেলগেটের উপর ওভারব্রিজ তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে অনেক দিন। তার ফলে অনেক দিন ধরে ওই রেলেগেটের কাছে যানজটে আটকে পড়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। তার পর চলে আসুন রঘুনাথগঞ্জ বাস টার্মিনাসে। সেখানে অটো, ট্রেকার, রিকশা ও দোকানঘর রাস্তা জবরদখল করে রয়েছে। প্রতিবাদ করলেই জবরদখলকারীদের থেকে চোখ রাঙানি ও কটুক্তি পেতে হয়। কিছুটা দুরেই দাদাঠাকুর মূর্তির মোড়। তিন দিকে তিনটে রাস্তা চলে গিয়েছে। কিন্তু সেখানে নেই কোনও ট্রাফিক পুলিশ। কোনও দিন হোমগার্ড থাকলেও তাঁরা যান নিয়ন্ত্রণের বদলে অন্য ‘কাজে’ ব্যস্ত থাকেন। তার থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে ফুলতলা মোড়। চারটি রাস্তার ওই মোড় থেকে সাগরদিঘির বাস ছাড়া হয়। সেখানেও নেই কোনও ট্রাফিক পুলিশ। হাসপাতাল ও ম্যকেঞ্জি পার্ক ছাড়িয়ে যে মোড় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, কোর্ট এসডিও অফিস-সহ বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ সরকারি দফতরে যেতে হয় সেখান যান নিয়ন্ত্রণের জন্য নেই কোনও ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা। ফলে ভুগতে হয় পথচারীদের। ওই সমস্যা সমধানের জন্য স্থানীয় পুরপ্রধান, বিধায়ক ও সাংসদের সক্রিয় ভূমিকা জরুরি। |
জঙ্গিপুর মহকুমার মানুষের কাছে সাম্প্রতিক কালে মোড়গ্রাম রেল স্টেশনের গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ, জঙ্গিপুর রোড স্টেশন থেকে দিনের বেলায় কলকাতা যাতায়াতের বিশেষ কোনও ট্রেন নেই। অথচ ওই মহকুমার মোড়গ্রাম রেল স্টেশনের দিয়ে কবিগুরু এক্সপ্রেস ও গণদেবতা এক্সপ্রেস চলে। কিন্তু মোড়গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসস্টপ থেকে স্টেশনটি বেশ কিছুটা দূরে। ওই বাসস্টপ থেকে স্টেশনে যাতায়াতের মাধ্যম কেবল রিকশা। কিন্তু রিকশাও সব সময় মেলে না। তার উপর ফাঁকা প্রায় জনমানব শূন্য রাস্তা দিয়ে স্টেশনে যেতে হয় বলে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এ কারণে জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকায় ওই স্টেশনটি স্থানান্তরিত করা হলে মহকুমার মানুষ উপকৃত হয়। |