|
|
|
|
ব্যবসা বন্ধে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের বিরোধিতা করে ডাকা ব্যবসা বনধের জেরে বৃহস্পতিবার বিপর্যস্ত হল উত্তরবঙ্গের জনজীবন। ছোট বাজারও পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। সেবক রোডের একটি বহুতল শপিং মলের সামনে পিকেটিং করে ব্যবসায়ীরা সেটি বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেন। বনধের সমর্থনে শিলিগুড়িতে ব্যবসায়ীরা ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্থবেঙ্গলের (ফোসিন) ডাকে প্রতিবাদ মিছিল করেন। পরে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা একটি স্মারকলিপি শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সৌরভ পাহাড়ির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি পুঁজি ঢুকে পড়লে ছোট ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি ভাবে মার খাবেন। দেশ জুড়ে বেকারি বাড়বে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।” উত্তর দিনাজপুরেও এদিন পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের ডাকে জেলা জুড়ে ব্যবসা বনধ হয়। বনধের জেরে এদিন জেলার ৯টি ব্লকের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। দুপুরে চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হন। সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুন্ডু বলেন, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি বা বিনিয়োগের অনুপ্রবেশ ঘটলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। সেই কারণেই, ব্যবসা বনধকে আমরা সমর্থন করেছি।” ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারে এদিন বনধ পালনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা চৌপথি এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পরিতোস দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা মহকুমা হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নির্মল দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তাতে ডুয়ার্সের ব্যবসায়ীরাও সামিল হয়েছেন। এদিনের বন্ধের সফলতায় তা প্রমাণিত হয়েছে।” |
|
|
|
|
|