এ বার থেকে বিডিও-র সই করা সার্টিফিকেট বা রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার আওতাধীন কার্ড হোল্ডাররাই হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ জারি করলেন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার। সুপার তিনি জানান, রামপুরহাট মহকুমাশাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী ওই নোটিস টাঙানো হয়েছে।
রামপুরহাট মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধানদের সই জাল করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা পরিষেবা নিয়ে আর্থিক দিক থেকে ছাড় পাচ্ছেন। এর ফলে রোগীকল্যাণ সমিতির পক্ষে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ব্যয় হয় সেই পরিমাণ আয় হয় না। আয় বাড়ানোর পাশাপাশি দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী প্রকৃত উপভোক্তাদের যাতে চিহ্নিত করা যায় সেই জন্য এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।” বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়কেরা কোনও দিন দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীদের সার্টিফিকেট ইস্যু করেন না। তাঁরা উপভোক্তাদের পারিবারিক আয়ের সার্টিফিটেকে সই করেন। সেই সার্টিফিটেক দেখিয়ে রোগীরা বিভিন্ন পরিষেবায় ছাড় পান।” তবে তিনি বলেন, “বিধায়ক বা প্রাধানের সই জাল করা সার্টিফিকেট দালাল মারফত অর্থের বিনিময়ে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নজরদারি বাড়ানো দরকার। এই কাজে দলীয় কর্মী বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “মঙ্গলবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে রোগী কল্যাণ সমিতির আয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই জন্য বিপিএলের ক্ষেত্রে বিডিও-র সই ছাড়া কার্যকর করা হবে না।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ২৮৬টি শয্যা আছে। অথচ হাসপাতালের মাসিক গড় আয় ৪০ হাজারের বেশি হয় না। অথচ রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা, এক্সরে প্লেট, তুলো, গজ সরবরাহ বন্ধ থাকলে তা কিনতে হয়। তাই হাসপাতালের আয় না বাড়ালে ওই সমস্ত খরচ চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক।
ডেপুটি সিএমওএইচ ১ অরুণলাল মণ্ডল বলেন,“ রামপুরহাট হাসপাতালে সিউড়ি, বোলপুর হাসপাতালের চেয়ে আয় খুব কম। যার জন্য দৈনন্দিন পরিষেবার ক্ষেত্রে রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিলের টাকা খরচ করতে হয়। ওই সমিতিরও টাকার পরিমাণ কম। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আয় বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে।” |