নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কারও ১৪ বছর ধরে কর বকেয়া, কারও ৫ বছরের! পুর কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিস পাঠিয়েও কাজ হয়নি! সম্পত্তি ক্রোক করার কথা জানিয়ে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়। তাতেও সাড়া মেলেনি। বৃহস্পতিবার ঢোল বাজিয়ে সম্পত্তি ক্রোক করতে দু’টি হোটেলে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হানা দেয় শিলিগুড়ি পুরসভার দল। তবে দুটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বকেয়া করের অর্ধেক জমা করায় এবং শীঘ্রই নির্ধারিত সময়ে বাকি করের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার হাত থেকে রেহাই পান হোটেল কর্তৃপক্ষ। শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন অফিস থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার কর বকেয়া পড়ে রয়েছে পুরসভায়। তা আদায় করতে এ বার তৎপর হয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “শহরের বিভিন্ন হোটেল, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলির থেকে কর পাবে পুরসভা। প্রচুর টাকা বকেয়া। বারবার বলে, নোটিস দিয়েও কাজ না হওয়ায় এ দিন পুলিশ নিয়ে সম্পত্তি ক্রোক করতে যায় পুরসভার দল। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক দফতরও রয়েছে তালিকায়। তবে অনেকেই বকেয়া পড়ে থাকা কর মেটাতে শুরু করেছেন।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, হিলকার্ট রোডে মাল্লাগুড়ি এলাকায় হোটেল সারদার কাছ থেকে সম্পত্তি কর বাবদ পুরসভার পাওনা রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। সম্পত্তি কর বাবদ প্রায় ৭ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ১৪ বছর ধরে না মেটানোয় তা সুদে আসলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ওই পরিমাণ। প্রধাননগরে বিনায়ক পাম রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হোটেল প্রাইভেট মিলিটেডের বকেয়া সম্পত্তির কর প্রায় ৯০ হাজার টাকা। প্রায় ৬ বছর ধরে ওই কর না দেওয়ায় তা জমে ওই টাকা দাঁড়িয়েছে। সারদা হোটেলের ম্যানেজার অনন্ত মজুমদার বলেন, “এ দিন প্রায় ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা কয়েকটি কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়া হবে।” অপর প্রতিষ্ঠান বিনায়ক পাম রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হোটেল প্রাইভেট মিলিটেডের তরফে মহসিন সরকার বলেন, “প্রায় বছর ছ’য়েক আগে বর্তমান কর্তৃপক্ষ হোটেল কেনেন। তবে সেখানে আগে থেকে ভাড়াটে রয়েছে। তিনি উঠছেন না। তা নিয়ে মামলাও চলছে। যাই হোক বকেয়া কর শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে।” |