নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
রাজগঞ্জের তোতাইগছে কলেজের নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হল। বৃহস্পতিবার দ্বারোঘাটন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। কলেজের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রী সাড়ে ৩ কোটি টাকা রবাদ্দের কথাও ঘোষণা করেন এ দিন। মন্ত্রী বলেন, “রাজগঞ্জে কলেজ হওয়াতে এলাকার ছেলেমেয়েরা বিশেষভাবে উপকৃত হলেন। কারণ, রাজগঞ্জে কলেজ হওয়া খুব দরকার ছিল। ছেলেমেয়েদের দূরের কোনও কলেজে যেতে হবে না।” পাশাপাশি, এই কলেজ স্থাপনে যাঁরা অগ্রগণী ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাঁদেরও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে কলেজের উন্নয়নের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে রাজগঞ্জ ব্লকের জন্য ৮৪ টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পূর্ত দফতরের মাধ্যমে সে কাজগুলি করা হবে। ডিপিআর প্রকল্পে এই কলেজের পাঁচিলের ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “উন্নয়নে রং দেখা উচিত নয়। সকলের সহযোগিতা দরকার। সবাই মিলে অসমাপ্ত কাজগুলি করব।” উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, সাংসদ মহেন্দ্র রায়, জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রণীতা সেওয়া, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যেন মণ্ডল, বিডিও টি টি ভুটিয়া সহ অনেকেই। বিধায়ক দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “মানবসম্পদের উন্নতির জন্য দরকার শিক্ষা। সেই দিক দিয়ে দেখলে শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজগঞ্জে উজ্জ্বল ভবিষৎ আছে। এই কলেজ হওয়াতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার বাড়বে।” সভাপতিত্ব করেন রাজগঞ্জ কলেজ অর্গানাইজিং কমিটির সম্পাদক বিজন বসু। তিনি বলেন, “রাজগঞ্জে কলেজের দাবি দীর্ঘ দিনের। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে কলেজের অনুমোদন লাভ করেছি। অনেক কাজ বাকি। মন্ত্রীর ঘোষণায় আমরা আশাবাদী।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহ্নবী বসু বলেন, “মাঠে কাজ করেন এমন ঘরের ছেলেমেয়েরা আমাদের কলেজে পড়াশোনা করছে। পড়ুয়া সংখ্যা বাড়ছে।” কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদ কোটা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা, রাজগঞ্জের বিধায়ক কোটা থেকে ৫ লক্ষ টাকাও অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের আর্থিক সহায়তা ও স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তায় কলেজ ভবন হয়েছে। কলেজে কলা বিভাগ নিয়ে পঠনপাঠন চলছে। এ দিন, কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে কলেজে লাইবেরী স্থাপন, অনার্স চালু, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারি বাস চলাচলের দাবিতে মন্ত্রী গৌতমবাবুর হাতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। |