|
|
|
|
হিমঘরে বেশি সময় আলু রাখতে ভর্তুকি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেসরকারি হিমঘরগুলিতে অতিরিক্ত সময় আলু রাখতে ভর্তুকি দেবে রাজ্য।
জানুয়ারি মাসের গোড়ায় নতুন আলু আসতে শুরু করবে হিমঘরগুলিতে। নিয়ম অনুযায়ী, পুরনো আলু ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বের করে দেওয়ার কথা। মাঝের এক মাসে হিমঘরগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলে। কিন্তু গত মরসুমে আলুর ফলন বেশি হওয়ায় হিমঘরগুলিতে এখনও প্রচুর আলু জমে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার আলু ব্যবসায়ী এবং হিমঘর-মালিকদের অনুরোধ করেছে, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো আলু হিমঘরে রাখার জন্য। এই ১৫ দিন হিমঘরে আলু মজুত রাখার ভর্তুকি দেবে সরকার।
বুধবার মহাকরণে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় হিমঘর-মালিক, আলু-ব্যবসায়ী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মন্ত্রী বলেন, “হিমঘরগুলিতে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন আলু জমে আছে। চেষ্টা হচ্ছে এই আলু বাজারজাত করার। হিমঘর ও আলু-ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখার জন্য। ১৫ দিনের হিমঘর-ভাড়ার টাকা রাজ্য ভর্তুকি হিসেবে দেবে।” মহাকরণ সূত্রের খবর, এর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে খরচ করতে হবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে আলুর হিমঘরের সংখ্যা প্রায় ৫৫০। হিমঘর মালিক-সংগঠনের সভাপতি স্বপন মণ্ডল বলেন, “চুক্তিমতো ১ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর হিমঘরে আলু মজুত রাখা হয়। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে হিমঘরে যা আলু থাকবে, তার উপরে কুইন্টালপিছু চার টাকা হারে ভাড়া দেবে সরকার।” প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চাইছিলাম সরকার উদ্যোগী হয়ে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মজুত আলু হিমঘরে রাখার অনুমতি দিক। সরকার অবশ্য বলছে সেটা সম্ভব নয়।” এ দিন বৈঠকে আলু ব্যবসায়ীরা জানান, আলু বিক্রির সময়ে চাষিরা কিলোপ্রতি পাচ্ছেন দেড়-দু’টাকা। অথচ, সেই আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা কেজিতে।
আলু-ব্যবসায়ী সমিতির বর্ধমান জেলার সম্পাদক সাগর সরকার বলেন, “বাছাই করা আলুর ৫০ কিলোর বস্তার পাইকারি দর ২০০ টাকা। জেলা থেকে কলকাতায় আনা ও অন্যান্য খরচ ধরে কিলোপিছু দর সাড়ে ছ’টাকার বেশি কোনও ভাবে হওয়া উচিত নয়।” কৃষি বিপণন মন্ত্রী বাজারে হানা দেওয়ার আশ্বাস দেন। |
|
|
|
|
|