|
|
|
|
আজ দ্বিতীয় ওয়ান ডে |
কোহলিদের সতর্ক করলেন ফ্লেচার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দ্রুত ভুল শুধরে নেওয়ার উদ্যোগ। প্রথম তিন ম্যাচেই সিরিজ শেষ করে দেওয়ার আকুতি। সহজ ক্যাচ কঠিন করে না ফেলার প্রতিজ্ঞা। ডারেন স্যামির টিমের বিরুদ্ধে কাল দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচের আগে এসবই ঘুরে-ফিরে এল বীরেন্দ্র সহবাগের টিমে।
কটকে ব্যাটিং ব্যর্থতা যে কোচ ডানকান ফ্লেচারের বিরক্তি বাড়িয়েছে, প্র্যাক্টিস থেকেই পরিষ্কার। নেটের পাশে দাঁড়িয়ে কোচ আলাদা সময় দিলেন কোহলি ও রায়নাকে। ভিডিও অ্যানলিস্টের সামনে নিয়ে গিয়ে দুই তরুণকে বোঝানো হল, ভুলটা কোথায়। যে ফর্মে রোহিত শর্মা ব্যাট করছেন, আর একটা ম্যাচে কোহলি বা রায়না ব্যর্থ হলে পাঁচ নম্বর থেকে তিন বা চারে উঠে আসতে পারেন রোহিত।
বিরাট কোহলি ও সহবাগের বল দুটো ভাল হলেও উইকেট উপহার দেন পার্থিব, গম্ভীর ও রায়না। কটকে পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়ায় এবং শেষ উইকেটে দরকার ছিল ২৩ বলে ১১ রান। বরুণ অ্যারন ও উমেশ যাদব জুটি রানটা তুলে দিলেও ধোনি-যুবরাজদের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় মিডল অর্ডারের নড়বড়ে ও ছন্নছাড়া দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোহিত শর্মার ৯৯ বলে ৭২ ভারতকে উতরে দেয়। বিশাখাপত্তনম ম্যাচের আগে রোহিত বলছেন, “ম্যাচটা জিতিয়ে ফিরতে পারিনি বলে আফসোস এখনও যায়নি। হেরে যাওয়া ম্যাচে রান করে কোনও লাভ হয় না। বোলারদের জন্য ১০ রান ফেলে রাখা সব সময় কঠিন। আমি দেখব, যাতে ভবিষ্যতে এরকম আর না হয়।” ঠিক সময়ে রবীন্দ্র জাডেজা ও বিনয় কুমার উল্টোদিক থেকে তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেছিলেন বলে জানাচ্ছেন রোহিত। ২০১০ সালে নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটুর জন্য টেস্ট অভিষেক হয়নি তাঁর। তারপর থেকে চোটের জন্য ভুগতে হয়েছে। বিশ্বকাপের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ম্যান অব দ্য সিরিজ হওয়া রোহিতকে ইংল্যান্ড সফরেও ভোগায় চোট। চলতি রঞ্জি মরসুমে একটা ডাবল সেঞ্চুরি এবং একটা সেঞ্চুরি সহ দারুণ ফর্মে, অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট দলেও জায়গা পেয়েছেন। এখনও টেস্ট দলে অগ্রাধিকার বিরাট কোহলির, কিন্তু রোহিত সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।
|
সহবাগদের জন্য ফুটবলাররা সাফাইকর্মী
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিষ্কার করাতে রাজ্য স্তরের ফুটবলারদের নিয়োগ করা নিয়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ইন্দৌরে। দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে ফুটবলারদের সাফাইকর্মীর পর্যায়ে নামিয়ে এনে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁদের চূড়ান্ত অপমান করেছে বলে হইচই পড়েছে। রাজ্য ফুটবল কর্তাদের অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনও হেলদোল নেই। আগামী ৮ ডিসেম্বর ইন্দৌরের হোলকার স্টেডিয়ামে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ এক দিনের ম্যাচ হওয়ার কথা। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ২৬ হাজার আসন পরিষ্কার করাতে স্থানীয় ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন ‘আনন্দ একাদশ’কে নিয়োগ করেছে বলে খবর। সিট পিছু ২ টাকা ৭৫ পয়সা করে পাচ্ছেন ফুটবলাররা। যাঁদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে মধ্যপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করা অন্তত সাত জন আছেন। ক্লাবের কোচ বলেছেন, “আমাদের ছেলেরা খুব গরিব। স্টেডিয়াম পরিষ্কারের টাকায় আমরা নতুন বুট আর ফুটবল কিটস কিনব।” লিগ জিতে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছে আনন্দ একাদশ। স্টেডিয়াম সাফাই করে তার থেকে অনেক বেশি পয়সা উঠবে। মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মিডিয়া ম্যানেজার অশোক কুমাত অবশ্য খবর অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|