|
|
|
|
৩ পয়েন্ট হারিয়ে আরও বিপদে বাংলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি জলে গেল। তিন পয়েন্ট এল না। বরং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টিম মিটিংয়ে সতীর্থদের কাছে আক্ষেপ করে বলে ফেললেন, এ ভাবে যদি পয়েন্ট মাঠে ফেলে আসতে হয় তা হলে আর কিছু হবে না এই টিমের। প্রশ্ন তুললেন, কুড়িটা রান কেন শেষ চার উইকেটে তোলা যাবে না?
মেজাজ খারাপ থাকা স্বাভাবিক। দু’দিন ধরে এমন কিছু নেই, যা সৌরভ করেননি বাংলার জন্য। কখনও ম্যাচ রেফারির কাছে দৌড়ে গিয়েছেন আম্পায়ারের অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে। বৃহস্পতিবার আবার সৌরভ সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিলেন, চল্লিশেও তাঁর ব্যাটে চালসে পড়েনি। কিন্তু বদলে টিমের থেকে কী পেলেন? বাংলা অধিনায়ককে দাঁড়িয়ে দেখতে হল, কী ভাবে লক্ষ্যের কাছাকাছি এসেও থমকে যাচ্ছে টিম। কী ভাবে শেষ পাঁচ উইকেট চলে যাচ্ছে ২২ রানে! দেখতে হল, একজনও নেই যাঁর থেকে সামান্যতম নির্ভরতাটুকু তিনি পেতে পারেন।
১৭৮ বলে ১৩৫ রান। ২০-টা বাউন্ডারির সঙ্গে একটা বিশাল ওভার বাউন্ডারি। সাড়ে চার ঘণ্টায় সৌরভের ব্যাট থেকে কভার ড্রাইভ যেমন বেরিয়েছে, তেমনই ‘হুক’ মেরেছেন অনায়াস মেজাজে। তাঁর আগুনে ব্যাটিং দেখে বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের একজন থেকে দুপুর একটা নাগাদ ফোনে বলেও ফেললেন, “সৌরভ ব্যাটিং ৮৪। তিন পয়েন্ট আসবে মনে হচ্ছে।” আর তিন পয়েন্ট! দু’ঘণ্টাও পেরোল না, ক্ষোভের একের পর এক বিস্ফোরণ। নির্বাচকমহলে। সিএবি-তে।
নির্বাচকরা বুঝে পাচ্ছেন না ৩১৭-৫ থেকে কী ভাবে টিম ৩৩৯ রানে শেষ হয়ে যায়? লক্ষ্মী-র (২৮) বোল্ড হওয়া দিয়ে যার শুরু। লক্ষ্মী আউট হওয়ার পর চালানো ছাড়া উপায় ছিল না সৌরভের। আউট হলেন ন’নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে। নির্বাচকদের প্রশ্ন, লক্ষ্মী সহ টেলএন্ডারদের অনেকেই বহু দিন ধরে খেলছেন। কেন কেউ সামান্য নির্ভরতাটুকু দিতে পারবেন না সৌরভকে? সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া সন্ধেয় আবার বলে দিলেন, “সৌরভের জন্য খারাপই লাগছে। আরও কয়েক বছর ও খেলতে পারত জাতীয় দলের হয়ে। আর ক্রিকেটাররা ফিরলে বসব ওদের সঙ্গে। সময় হয়েছে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার।” এমনিতেই হরিয়ানায় পয়েন্ট ফেলে আরও গাড্ডায় চলে গেল বাংলা। তিন ম্যাচ থেকে সম্ভবত আসছে পাঁচ পয়েন্ট। শেষ আটে যেতে হলে আরও চাই অন্তত দশ পয়েন্ট। আর পরবর্তী তিন বিপক্ষ? তামিলনাড়ু, দিল্লি, বরোদা। কোয়ার্টার ফাইনাল দূরের ব্যাপার। অবনমন আটকানো যাবে কি না সেটাই প্রশ্ন।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর: হরিয়ানা ৩৫৮, বাংলা ৩৩৯ (সৌরভ ১৩৫, অরিন্দম ৭৪, ঋদ্ধি ৩৩, মিশ্র ৪-৫৮) হরিয়ানা ৪২-১ (দিন্দা ১-৯) |
|
|
|
|
|