দল থেকে ‘ব্রাত্য’ হওয়া দিন পনেরোর শিশু হাতিটিকে নিয়ে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে রওনা দিলেন পুরুলিয়ার বনকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ভোরে মাঠা রেঞ্জ অফিস থেকে একটি লরিতে খুদে হাতিটিকে চাপানো হয়। তার দেখাশোনার জন্য দু’জন প্রাণী চিকিৎসক ও ছ’জন বনকর্মী রয়েছেন। পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও অনুপকুমার দাস বলেন, “মা ফিরিয়ে না নেওয়ায় শিশু হাতিটির মাতৃ দুগ্ধ ও মাতৃ স্নেহের দরকার ছিল। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে কুনকি হাতিদের স্নেহে থাকার জন্য শিশু হাতিটিকে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে চিকিৎসক ও বনকর্মীরা রয়েছেন।” মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৫টি হাতির দল পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানা এলাকায় ধানের খেতে নামে। |
সে সময়ে রাত পাহারায় থাকা ওই গ্রামের বাসিন্দারা তাড়া করায় হাতির দলটি জঙ্গলে পালায়। সেই সময় মা ও দলের বাকি হাতিদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওই শিশু হাতিটি একটি মাঠ কুয়োর ভিতরে পড়ে যায়। তার চিৎকার শুনে বাসিন্দারা কুয়োর ভিতরে নেমে তাকে উদ্ধার করেন। জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু মানুষের ছোঁয়া লাগা শিশু হাতিটিকে দল বা তার মা ফিরিয়ে নেয়নি। বুধবার মাঠা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে এসে শিশু হাতিটির চিকিৎসা করা হয়। লরির পাটাতনে খড় ও কাঠের গুঁড়ো বিছিয়ে শিশু হাতিটিকে রাখার ব্যবস্থা করেন বনকর্মীরা। রাস্তায় খাওয়ানোর জন্য সঙ্গে গুঁড়ো দুধ ও গ্লুকোজ দেওয়া হয়। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার শিশু হাতিটি মাঝে মধ্যে আনমনা থাকলেও গাড়িতে ওঠার পর থেকেই ও চনমনে হয়ে ওঠে। |