|
|
|
|
পরিকাঠামোর হাল খারাপ উলুবেড়িয়া জিআরও দফতর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
দু’টি মাত্র ঘর। তার মধ্যেই একটি অংশ ব্যবহার করা হয় লকআপ হিসাবে। সর্বত্রই জরুরি ফাইলের স্তূপ। স্থানাভাবে মহিলা বন্দিদের জন্য কোনও পৃথক লকআপের ব্যবস্থাও নেই। অথচ বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে বন্দিদের এখানে এনে রাখা হয় উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানোর জন্য। দিনের পর দিন কাজের চাপও নথিপত্রের সংখ্য বাড়লেও জায়গা বাড়েনি। ফলে বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে হাওড়ার উলুবেড়িয়া এসডিও অফিস লাগোয়া জিআরও (জেনারেল রেকর্ড অফিস) দফতরের অবস্থা বর্তমানে খুবই সঙ্গীন।
পুলিশ ও দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, স্থানাভাবের জন্য প্রচণ্ড ভাবে ব্যাহত হচ্ছে কাজকর্ম। পাশপাশি কর্মীর অভাবের সমস্যা তো রয়েইছে। ছোট্ট দু’টি ঘরের এই জিআরও দফতরে কোনও কম্পিউটার নেই। ফলে নথিপত্র রেকর্ড রাখার আধুনিক উপায় না থাকার জন্য মেঝের উপরেই দিনের পর দিন তা স্তূপাকার হচ্ছে। বস্তত, গোটা দফতরটিই গুদামের চেহারা নিয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গেল, দৈনিক গড়ে ১০ থেকে ১২টি কেস আসে এখানে। যার মধ্যে ২-৩টি থাকে মহিলাদের। অথচ একটি লকআপেই সমস্ত বন্দিদের রাখতে হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে মহিলা বন্দিদের বাইরে বেঞ্চে বসিয়ে রাখতে হয়। |
|
ছবি: হিলটন ঘোষ। |
বর্তমানে যে ঘরদু’টিতে দফতর চলছে তার অবস্থাও শোচনীয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁয়ে জল পড়ে। নথিপত্র বাঁচাতে ছাদ সংস্কারের বদলে ফাটা অংশে তাপ্পি মারা হয়েছিল। কিন্তু তার অবস্থাও খারাপ। মাঝেমধ্যে চাঙড় খসে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সর্বদাই কর্মীদের ভয়ে ভয়ে কাজ করতে হয়। এমনকী স্থানাভাবে কর্মীদের কাউকে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়।
সমস্যার ব্যাপারে উলুবেড়িয়ার এসডিপিও তন্ময় সরকার বলেন, “জিআরও দফতরে প্রথম থেকেই জায়গার খুব অভাব। সমস্যার কথা জানিয়ে মহকুমাশাসককে ওঁর নতুন অফিসে কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না সে জন্য অনুরোধ করেছি।” মহকুমাশাসক দেবকুমার নন্দন বলেন, “জিআরও অফিসের সমস্যার কথা জানি। কিন্তু কী করব? জায়গার অভাবে আমার দফতরের কর্মীরাই ঠিকমত বসতে পারেন না। জেলাশাসককে সব জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|