পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ |
জমি-সংক্রান্ত বিবাদে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। শেষমেশ বাধ্য হয়ে এক মহিলা বিডিওর দ্বারস্থ হলেন। মানবাধিকার কমিশনকেও ঘটনার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তিনি। আরামবাগের বাগড়াগ্রামের ওই বধূর নাম প্রতিমা পাল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর জমির মাটি অবৈধ ভাবে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু মানুষ। গত ১৯ নভেম্বর থানায় কয়েক জন প্রতিবেশীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ নড়ে বসেনি বলে অভিযোগ। আবার, পুলিশে নালিশ জানানোর ‘অপরাধে’ তাঁকে মারধর করা হয় বলেও জানিয়েছেন প্রতিমাদেবী। আপাতত তিনি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩ সাল থেকে ওই জমি থেকে মাটি চুরি হচ্ছে। দেড় একর ওই জমি দেবোত্তর সম্পত্তি। বছর কুড়ি ধরে ‘দখলিকার’ হিসাবে প্রতিমাদেবীর নামে রেকর্ড আছে। তিনি একাই থাকেন বাগড়াগ্রামে। স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগাড়িয়ার। তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত করছে। অন্য দিকে, আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই বলেন, “বিষয়টি ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরকে দেখতে বলা হয়েছে।” অভিযুক্তদের তরফে গোবিন্দ পাল বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন।”
|
ফুটবলে ফের সাফল্য নীলারপুরের |
দক্ষিণডিহি জোনাল আন্তঃবিদ্যালয় ফুটবলের জুনিয়র বিভাগে জাঙ্গিপাড়ার নীলারপুর রাজা রামমোহন বিদ্যাপীঠের জয়জয়কার অব্যাহত। এই নিয়ে চতুর্থ বার নীলারপুরের ছেলেরা এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল। এ বার ফাইনাল খেলা হয় মশাট ফুটবল খেলার মাঠে। নীলারপুরের স্কুলটি ১-০ গোলে হারায় চণ্ডীতলার আকুনি বিজি বিহারীলাল ইন্সটিটিউশনকে। প্রতিযোগিতার সিনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শিয়াখালা বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয়। ফাইনালে তারা হারায় জাঙ্গিপাড়ার মুণ্ডলিকা অঞ্চল উচ্চ বিদ্যালয়কে। খেলার ফল ১-০। বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয় একমাত্র গোলটি করে খেলার শেষ লগ্নে। তবে, প্রথমার্ধে একটি পেনাল্টি পেলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চণ্ডীতলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সনৎ সানকি, চণ্ডীতলার বিএমওএইচ পার্থপ্রতিম গুহ প্রমুখ। দুই বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দল শ্রীরামপুর মহকুমা পর্যায়ের সুব্রত কাপে খেলার সুযোগ পেল।
|
বিজেপি সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ |
কলকাতায় দলের সমাবেশে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ চার বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের সাতবেড়িয়ায়। সহদেব দাস ও তাঁর ভাই বাসুদেব এবং তাঁদের স্ত্রী চন্দনা ও প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। থানায় অভিযোগ হয়েছে নবীন পাল, সুকুমার পাল-সহ জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। সহদেবদের অভিযোগ, তাঁদের সন্ধের দিকে সাতবেড়িয়া হাইস্কুলের কাছে ডাকে তৃণমূলের লোকজন। তাঁরা যাননি। এরপরে দুই ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। স্ত্রীরা প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করা হয় তাঁদেরও। হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল ওই এলাকারই বাসিন্দা। তিনি বলেন, “তৃণমূল লাগাতার অত্যাচার চালাচ্ছে। ওরা সিপিএমের থেকেও ভয়ঙ্কর।” অন্য দিকে, গোটা ঘটনাটিকে ‘পারিবারিক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল।
|
হাওড়া স্টেশনের কাছে একটি হোটেলে রীতিমতো অফিস সাজিয়ে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে সাক্ষাৎকার চলছিল। প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সেখান থেকে চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কেশবকুমার সিংহ, সাগ্নিক দাস, শুকদেব দাস ও মহেশ্বর মিশ্র। তারা ওড়িশা, বিহার ও কলকাতার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বেকারদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ আছে ওই চার জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ এ দিন ওই হোটেলে হানা দেয়। ওই চার যুবক কিছু প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারে ডেকেছিল। কয়েক জন প্রার্থীর নকল ডাক্তারি পরীক্ষাও করে তারা। ধৃতদের কাছে নকল নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র পেয়েছে পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (উত্তর) রশিদ মুনির খান বলেন, “রেল-কর্তৃপক্ষ জানান, ওই সব নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র ভুয়ো। ধৃতেরা কেউ রেলের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই চার জনের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
অচলাবস্থার অভিযোগ তুলে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখলেন ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া এসএমটিআই কলেজে। এখানে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা হাজার খানেক। তাঁদের অভিযোগ, দেড় বছর ধরে অধ্যক্ষের পদ খালি। পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। ক’দিন বাদেই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তা-ও হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষার ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস চেয়েছেন তাঁরা। বিকেল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও শুরু করেন পড়ুয়ারা। সন্ধের পরে অবশ্য শিক্ষিকাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটকে রাখা হয় শিক্ষকদের। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাত পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি।
|
শ্যামপুর হাইস্কুলেও পরিচালন কমিটির ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল। পুড়শুড়ার এই স্কুলে ভোটের দিন ছিল ১১ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমার শেষ দিন। ৬টি আসনে কেবলমাত্র তৃণমূলের প্রার্থীরাই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। |