আরও কিছুটা কমলো সাধারণ মানুষের উপর খাদ্যপণ্যের চড়া দামের বোঝা। ৯.০১ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় ওই হার নেমে এল ৮ শতাংশে, যা গত চার মাসে সবচেয়ে কম। আলু, পেঁয়াজ, গমের দাম বেশ কিছুটা কমায় স্বস্তি পাবে দৈনন্দিন অন্ন সংস্থানের খরচ মেটাতে জেরবার আমজনতা।
পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। গত ১৯ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান দেখে তাঁর ইঙ্গিত, “অর্থবর্ষ শেষে সম্ভবত খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির এই হারকে ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে।” ঋণের উপর সুদের বোঝা কমার আশায় খুশি শিল্পমহলও।
১৬ জুলাইয়ের ৭.১৬ শতাংশের পর এ সপ্তাহেই খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে কম। পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রায় ৪১%, আলু ১১% ও গম ৪.৭%। তবে অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণ যে এখনই দূরে সরানো যাবে না, সেই ইঙ্গিতও দেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মূল্যবৃদ্ধির সরীসৃপ যে ফের ফণা তুলতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তাঁরা।
তার জন্য মূলত যে সব কারণকে তাঁরা দায়ী করেছেন, সেগুলি হল:
• ইউরোপীয় সঙ্কটের সুরাহা না-হওয়া। যা ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিকে টেনে নামাচ্ছে।
• টাকার দাম ফের পড়লে আমদানি খরচ বাড়ায় চড়া হবে তেলের দাম।
• শিল্পোৎপাদন তলানিতে নেমে আসা, যা কার্যত ঠেলে তুলবে মূল্যবৃদ্ধিকেই।
প্রসঙ্গত, এইচএসবিসি মার্কিট ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং-এর সূচক অনুসারে ভারতে শিল্পোৎপাদন অক্টোবরে নেমে এসেছে গত ৩২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। জোগান কমলে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানোয় তা অন্তরায় হতে পারে বলেই আশঙ্কা। |