হয় ৯০ কোটি টাকার বকেয়া অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে, নয়তো শনিবার থেকেই দিনের খরচ চোকাতে হবে দিনে। পাওনা টাকা না পেয়ে আর্থিক সঙ্কটে জেরবার কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে এই হুমকিই দিয়েছে মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের খরচ হিসেবে গুনতে হবে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যা এই মুহূর্তে নগদ জোগানের অভাবে ধুঁকতে থাকা কিংফিশারের কাছে রীতিমতো পিলে চমকে দেওয়ার মতোই।
তবে শুধু মুম্বই নয়, টাকা বাকি ফেলে একাধিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষেরই রোষের মুখে পড়েছে বিজয় মাল্যর সংস্থা। বকেয়া হাতে না আসায় ওই একই সুরে তাদের দিনের খরচ দিনে মেটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-ও। তারা পায় ২৪০ কোটি টাকা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক সূত্রের দাবি, ওই টাকা মেটাতে সংস্থার দেওয়া একটি চেক ফেরত চলে আসার পরই এই ফতোয়া জারি করে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কিংফিশারকে বকেয়া টাকা মেটানোর নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও।
মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন, “আমরা ৯০ কোটি টাকার বকেয়া নিয়ে কথা চালাচ্ছি কিংফিশারের সঙ্গে। শনিবারের মধ্যে তা না মেটালে বাধ্য হয়েই তাদের থেকে এ বার দিনের খরচ দিনেই আদায় করা হবে।”
কিংফিশার অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। সংস্থার মুখপাত্র জানান, ব্যবসার বিধি মেনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হবে না। তবে নতুন উড়ানসূচি মাফিক কিংফিশারের উড়ান কোনও ভাবেই ব্যাহত হবে না বলে যাত্রীদের ভরসা দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১২ হাজার কোটি টাকার উপর ঋণের ফাঁদে আটকে থাকা এই বিমান সংস্থাটি সব থেকে বেশি উড়ান চালায় মুম্বই ও দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই। |