রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং কায়েমি স্বার্থকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে বাধা হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করলেন রতন টাটা। খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে সংসদে টানা অচলাবস্থার পাশাপাশি গত কালই দেখা গিয়েছে, গত ন’টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সব চেয়ে নীচে নেমে এসেছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ট্যুইটারে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্বিগ্ন রতন টাটা লিখেছেন, “ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি নেমে এসেছে ২.৭ শতাংশে, যা গত দু’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন!”
রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ক্রমাগত চাপানউতোর এবং আর্থিক বৃদ্ধির নিম্নগামী হারের জেরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতে লগ্নি করার ব্যাপারে আস্থা হারাতে পারেন বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। ভারতীয় শিল্পপতিরাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি বলেছিলেন, “সিদ্ধান্তহীনতাই সরকারের সব চেয়ে বড় চিন্তার বিষয়।” রাজনৈতিক কারণে শিল্পের গতি যাতে থমকে না যায় সে দিকে কড়া দৃষ্টি রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেছিলেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ অম্বানীও। সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আটকে থাকা নিয়ে তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তার পর আজ রতন টাটাও বলেছেন, “ভারত যে অসাধারণ গতি এবং বিশ্বের দরবারে যে জায়গা পেয়েছে, তাকে আমরা কখনওই নষ্ট হতে দিতে পারি না। দেশের অতীত গৌরব এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জায়গাটা আবার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে এটা জাতীয় গৌরবের প্রশ্ন।”
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের সুরে সুর মিলিয়ে রাজনৈতিক জটে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া নিয়ে আজ ট্যুইটারে অসন্তোষ জানিয়েছেন বায়োকন ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার শ এবং ইউবি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিজয় মাল্য। দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিম্নগামী হওয়ার প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মাহীন্দ্র গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারম্যান আনন্দ মাহীন্দ্রও। |