টাকা বাড়ল ৭৪ পয়সা, সেনসেক্স উঠলেও শঙ্কিত শেয়ার বাজার |
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে নেমে এসেছে জানার পরেও বৃহস্পতিবার প্রায় ৩৬০ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স। কিন্তু তা সত্ত্বেও আশঙ্কায় রইল শেয়ার বাজার। কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটালের জেরে এ বার দেশের আর্থিক ভিতও নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। যে কারণে এ দিনের উত্থানকে অত্যধিক গুরুত্ব দিতে নারাজ তাঁরা। এ দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে ৭৪ পয়সা বেড়েছে টাকার দামও। গত আড়াই বছরে যা সর্বোচ্চ। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫১.৪৬/৪৭ টাকা। দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও এ দিন সূচককে ঠেলে তুলেছে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস। উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে ঋণের শর্ত শিথিল করে ইউরোপ-সহ বিশ্ব অর্থনীতির হাল ফেরাতে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, জাপান ও সুইৎজারল্যান্ডের শীর্ষ ব্যাঙ্কের বিশেষ উদ্যোগে রাজি হওয়ার খবরও। তবে বিশেষজ্ঞ অজিত দে-র মতে, “২০০৮-এর বিশ্ব-মন্দার প্রভাব ভারতে পড়লেও বৃদ্ধির হার-সহ মৌলিক উপাদানগুলি ছিল মজবুত। কিন্তু এখন সেগুলিই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।” এক দিকে বে-লাগাম মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে গিয়ে লাগাতার বেড়েছে সুদের হার। ফলে শ্লথ হয়েছে শিল্পোৎপাদন। তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে আর্থিক বৃদ্ধির উপরেও। এই অবস্থা না-বদলালে বাজার দীর্ঘ মেয়াদে চাঙ্গা হওয়ার আশা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
|
ছোট গাড়ির বিক্রি কমলো নভেম্বরেও |
উচ্চ মধ্যবিত্তদের পছন্দের দামি গাড়ির বিক্রি সামান্য বেড়েছে। তবে নভেম্বরেও বিক্রি কমলো কম দামি ছোট গাড়ির। একই সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে গেল, অর্থনীতির হাল খারাপ হলে, এ ক্ষেত্রে প্রথম কোপ পড়ে মধ্যবিত্তদের উপরেই। শিল্পমহলও মনে করছে, ছোট গাড়ি যাঁরা কেনেন, দাম মেটাতে গাড়ি-ঋণের উপর নির্ভর করেন তাঁদের অনেকেই। তাই গত এক বছরে যে ভাবে সুদ বেড়েছে, তাতে ছোট গাড়ির বিক্রি কমা প্রত্যাশিত বলে মনে করছেন তাঁরা। ফলে সব মিলিয়ে বছর শেষের মুখে এসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না গাড়ি শিল্প। ছ’মাস ধরে অব্যাহত রইল দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকির ব্যবসার নিম্নগতি। তাদের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, কম দামি ছোট গাড়ির বিক্রি কমেছে। বেড়েছে দামি গাড়ির বিক্রি। মারুতি জানিয়েছে, গত নভেম্বরে ২০১০-এর একই সময়ের তুলনায় তাদের গাড়ি বিক্রি কমেছে ১৯%। এর মধ্যে মারুতি-৮০০, অল্টো, এ-স্টার ও ওয়াগন আর-এর বিক্রি কমেছে সর্বাধিক, প্রায় ২৭%। সুইফট, এস্টিলো ও রিৎজ মিলিয়ে বিক্রি কমেছে প্রায় ৪%। ওমনি ও ইকো-র বিক্রি কমেছে প্রায় ৩৪%। তবে ডিজায়্যার বা এসএক্স ফোর-এর বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৯.৮%। হুন্ডাই ও টাটা মোটরস-এর বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ১০.৯% ও ৮০.৮১% (সৌজন্যে মূলত ন্যানো)। মহীন্দ্রার বিক্রি প্রায় ৫২%। সামান্য বিক্রি বেড়েছে জেনারেল মোটরসেরও। টয়োটা, স্কোডা ও ফোক্সভাগেনের ব্যবসা বেড়েছে। তবে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার অব্যাহত। যেমন, হিরো মোটো কর্পের ব্যবসা বেড়েছে ২৭.৩৯%। টিভিএস-এর ব্যবসা বৃদ্ধি ১২%।
|
এম জি সাংভি সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের সিএমডি হয়েছেন। |