কালভার্ট ভেঙে রাস্তা কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অথচ কালভার্ট সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার কোটাসুর-রামনগর সড়কের উপরে নির্মিত স্থানীয় গড়গড়া গ্রাম সংলগ্ন কালভার্টটির একাংশ দিন দশেক আগে ভেঙে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও ওই কালভার্ট পুননির্মাণ কিং বা মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
|
অথচ ওই রাস্তার উপর দিয়েই যাতায়াত করে সাঁইথিয়া-রামনগর-সহ বেশ কিছু রুটের বাস। ট্রাক-সহ অন্যান্য যানবাহনও চলাচল করে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, অফিস যাত্রীদের মোটরবাইক নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। যে কোনও সময়ে বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ওই রুটের বাস চালক ভীম ভল্লা, মণ্টু শেখরা বলেন, “ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলতে হয়।”
স্থানীয় গড়গড়া গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিত মণ্ডল, ষাটপলশার মিহির শেখরা বলেন, “রাতের অন্ধকারে বাইক নিয়ে কালভার্টের উপরে পড়লে আর বলতে হবে না।” স্থানীয় ষাটপলশা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি অয়ন ঘোষ বলেন, “ওই এলাকা থেকে বহু ছাত্রছাত্রী বাইক নিয়ে স্কুলে আসে। তাদের অনেকেই টিউশন পড়ে রাতে বাড়ি ফেরে। ওই সব ছাত্রছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।” ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “ওই কালভার্ট পুননির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” |