ডাকর্মীর সঙ্গে যোগসাজোস করে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরদের পাওনা টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বছর খানেক আগে নলহাটির বড়লা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ডাকঘরের পরিদর্শক ও কর্মীরা টাকা দিতে গেলে বাসিন্দারা তাঁদের রাত পর্যন্ত আটকে রাখেন। বাসিন্দাদের দাবি, এ দিন ৫ জনকে টাকা দিতে এসেছিলেন ডাককর্মীরা। তা নিতে রাজি হননি বাসিন্দারা। তাঁদের মনোভাব দেখে গ্রামের ডাককর্মীর বাড়ি থেকে মাঠে পালিয়ে যান কর্মী-সহ ডাক বিভাগের নলহাটির পরিদর্শক। তার পরে বাসিন্দারা তাঁদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে গ্রামে নিয়ে আসেন। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দারা তাঁদের ছাড়তে রাজি হননি। পরিদর্শক দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছ থেকে মজুরদের সই করা টাকা তোলার আবেদন পত্র দেখে তাঁদের এক সঙ্গে টাকা দিয়ে ফেলেন বড়লা গ্রামের ডাককর্মী। তিনি ভুলই করেছেন। এ দিন ডাক বিভাগের বীরভূম জেলা সুপারিন্টেডেন্টের নির্দেশে বড়লা গ্রামের ৫ জনকে টাকা দিতে গিয়েছিলাম।” নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও অচিন্ত্য সিংহ বলেন, “কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” অবশ্য রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে তঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
|
কিশোরীকে অপহরণ, মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে নিজেদের হেফাজতে রাখার দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড হল দুই যুবকের। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গুরুপদ মণ্ডল রিপন শেখ ও সমীর শেখকে এই সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান, চলতি বছরের মে মাসে নলহাটির লোহাপুরের বাসিন্দা মুকুল শেখের সাত বছরের মেয়ে রেশম খাতুন দুপুরে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরে বাড়ি না ফেরায় সন্দেহ হয় পরিবারের। বিকেল তিনটে নাগাদ লোহাপুরের বাসিন্দা রিপন শেখ ও হায়দরপুরের বাসিন্দা সমীর শেখের বাড়ইতে উপস্থিত হয়ে মুকুলবাবু দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে তারা অপহরণ করেছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এর পরে বাসিন্দাদের সহায়তায় মুকুলবাবু রিপনকে আটকে রাখেন। যেখানে তাঁর মেয়েকে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এই জায়গা থেকে সমীরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে।
|
অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে দরপত্র আহ্বান করছেন বিডিও। এর ফলে যোগ্য ঠিকাদাররা দরপত্র আহ্বানে যোগ দিতে পারছেন না। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার টেন্ডার কমিটির সভা বয়কট করলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। ঘটনাটি নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেনের অভিযোগ, “বিডিও এক দিন টেন্ডার কমিটির সভা ডেকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিদের বক্তব্যকে প্রাধান্য না দিয়ে খেয়াল খুশি মতো কাজ করছেন।” তাঁর দাবি, “টেন্ডার কমিটির সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ, উন্নয়ন ও পরিকল্পনার স্থায়ী সমিতির সভায় অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিতে পারবেন না। বিডিও তা করলে আমরা বিরোধীতা করব।” নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও গঙ্গাধর দাস বলেন, “টেন্ডার খোলার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়েছে। কোনও রকম বেনিয়ম হয়নি। কাজের ওয়ার্ক অর্ডারের ক্ষেত্রে বিধি মেনেই হবে।” পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মসিউর রহমান ববি বলেন, “এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।”
|
মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য বরুণ দাসকে বৃহস্পতিবার হাজির করানো হয়েছিল দুবরাজপুর আদালতে। বিচারক তাঁকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রের রাজনীতি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেয়ে বুধবার সিউড়িতে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন খয়রাশোল থানার তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য বরুণ দাস। আত্মসমর্পণ করার সময়ে তাঁর কাছে অস্ত্র ছিল না। তিনি লালগড় আন্দোলন ও খয়রাশোল, রাজনগর, দুবরাজপুরে বিভিন্ন নাশকতায় যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১০-এ খয়রাশোলে একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার বেস স্টেশনে বিস্ফোরণ, ওই বছর পুলিশের চর সন্দেহে খয়রাশোলের দুই বাসিন্দা ও তারাপুরের এক সিপিএম কর্মী খুন হয়েছিলেন। ২০০৮-এ রাজনগরে দুই সিপিএম নেতা খুন হয়েছেন।
|
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নলহাটি থানার কল্যাণপুর গ্রাম থেকে ২৫ কেভির ট্রান্সফর্মার উদ্ধার করল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির নলহাটি গ্রুপ সাপ্লাই অফিস, রামপুরহাট বিভাগীয় অফিস এবং বিডিও-র ভিজিল্যান্স বিভাগ। যৌথ অভিযান চালিয়ে ট্রান্সফর্মার উদ্ধারের পাশাপাশি ওই গ্রামের নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল নামে এক জনের বিরুদ্ধে নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রামপুরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল অবৈধ ভাবে ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার বসিয়ে গভীর নলকূপের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তিকে এ দিন পাওয়া যায়নি। পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে।”
|
দুবরাজপুর পুর এলাকায় বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ৪১৭৩। সেই পরিবারগুলির মধ্যে ৩৪০৭টি পরিবারের বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমার কার্ড তুলে দেওয়া হল। দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “অক্টোবর মাসে ওই কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এ দিন বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলির কাছে কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ওই কার্ডের প্রাপ্য সুবিধা পাবেন এক বছর ধরে। পরে সেটি আবার পুনর্নবীকরণ করাতে হবে।” বাকি পরিবারগুলি খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য বিমার কার্ড পৌঁছে যাবে বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন।
|