স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তি হল রানিগঞ্জের স্কুলে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকে লাঠিও চালাতে হয়। তবে এ সব সত্ত্বেও তাদের প্রার্থীরা তৃণমূলের লোকজনের বাধায় মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ সিপিএমের। তাই এ দিনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেকে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির ৬টি আসনেই জয়লাভ করলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার ছিল এই স্কুলে মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার দিন। মনোনয়ন তুলতে যাওয়ার আগে তৃণমূল সমর্থকেরা সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীদের আটকাতে যান বলে অভিযোগ। |
পুলিশ ও র্যাফ লাঠি চালিয়ে তাদের হটিয়ে দেয়। তাতে পাঁচ তৃণমল সমর্থক জখমও হন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ভিতরে ঢুকিয়ে দিলেও সিপিএম সমর্থিত ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ প্রার্থীই ফর্ম না নিয়ে ফিরে যান। এক জন আবেদনপত্র তুললেও তা জমা না দিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রামচন্দ্র মাহাতো বলেন, “পুলিশ ভিতরে ঢুকতে সাহায্য করেছে। কিন্তু ভিতরেও এক দল তৃণমূল কর্মী অপেক্ষায় ছিল। তাদের হুমকিতে ভয়ে কেউ মনোনয়ন তোলেননি।” তৃণমূলের জেলা নেতা কাঞ্চন তিওয়ারির অবশ্য দাবি, “তিন দশক পরে এ বার প্রথম ওই স্কুলে নির্বাচন হল। মনোনয়ন তুলতে গিয়ে আমাদের জনসমর্থন দেখে ওরাই পিছু হটে। যাতে কোনও ঝামেলা না হয় সে জন্যই আমাদের কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু পুলিশ কিছু না বুঝেই লাঠি চালিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। |