বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজ বাড়ছে। অথচ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ তুলেছেন বাদুড়িয়ার বাসিন্দারা।
রবিবার গভীর রাতে কাটিয়াহাটের একটি কালীমন্দিরের তালা ভেঙে ঢুকে প্রতিমার বহু অলঙ্কার চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই নিয়ে গত কয়েক মাসে তিন বার চুরি হল ওই কালীমন্দিরে।
শনিবারই যদুরআটি পঞ্চায়েতের পান্তিপাড়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী মানিক কর্মকারের দোকানে ঢুকে দুষ্কৃতীরা অলঙ্কার-সহ নগদ টাকা লুঠ করে। বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন মানিকবাবু। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরা। উদ্ধার করা যায়নি খোয়া যাওয়া অলঙ্কার বা টাকা। এক দিন পরেই ফের চুরির ঘটনা কাটিয়াহাটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাচীন ওই কালীমন্দিরের পুরোহিত দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ভোরে মন্দিরে পুজোর আয়োজন করতে এসে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। প্রতিমার সমস্ত গয়না উধাও। পুজোর অন্যান্য সরঞ্জাম-সহ প্রণামীর বাক্সটিও গায়েব।
ওই মন্দিরের কাছেই একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তা সত্ত্বেও চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। নিয়মমাফিক অবশ্য সোমবার সকালে পুলিশ ওই মন্দিরে তদন্তে আসে। একটি চুরির অভিযোগও দায়ের করা হয় থানায়।
বস্তুত, কয়েক মাস ধরেই বাদুড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার দোকানে চুরি হচ্ছে। রাতে রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। দিন কয়েক আগেও পান্তিপাড়ায় মানিকবাবুর দোকানের দরজা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়েছিল। তার আগে একটি মন্দিরের দরজা ভেঙে দুষ্কৃতীরা বিগ্রহের অলঙ্কার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র লুঠ করে। সম্প্রতি কাটিয়াহাটের এক কংগ্রেস নেতা খুন হন। এই পরিস্থিতিতে রাতে এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চাননি এসডিপিও (বসিরহাট) আনন্দ সরকার। তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অপরাধ সংগঠিত করে দুষ্কৃতীরা অন্যত্র পালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও, পুলিশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরতে পেরেছে। কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় আটুরিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন মহিলা প্রধানের স্বামী-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনারই তদন্ত চলছে।” রাতে এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো নিয়ে গ্রামবাসীদের দাবির বিষয়ে তিনি জানান, রাতে পুলিশ টহল চলে। তা বাড়ানো যায় কিনা, ভেবে দেখা হচ্ছে। |