একদা সিপিএমের ‘দুর্গ’ মেদিনীপুর সদরের কনকাবতীতে মিছিল করল তৃণমূল। জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের দাবিতেই এই মিছিল। সোমবার দুপুরে এই মিছিল হয়। তৃণমূলের মেদিনীপুর সদর ব্লক সভাপতি দিলীপ দে বলেন ,“এখনও সিপিএমের বাহিনী অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। নানা চক্রান্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গলমহলের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এলাকার উন্নয়নের দাবিতেই এই মিছিল।” কনকাবতীতে এক সময়ে সিপিএমের ‘সশস্ত্র শিবির’ ছিল বলে অভিযোগ। রাজ্যে পালাবদলের পর এখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়। মেলে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখানে যে অস্ত্র তৈরির কারখানা খোলা হয়েছিল, তা আগেই পুলিশ জানত। কিন্তু, তা-ও কোনও পদক্ষেপ করেনি। পালাবদলের পর স্থানীয়দের উদ্যোগেই অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়। সোমবারের মিছিলে তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরাই যোগ দেন। কনকাবতী, লোধাসাই এলাকায় মিছিল হয়। তৃণমূলের দাবি, এখন জঙ্গলমহলে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসছে। এই সময় সিপিএমের বাহিনী নতুন করে চক্রান্ত শুরু করছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। দলের সদর ব্লকের এক নেতা বলেন, “আমাদের একাংশ কর্মী-সমর্থক এখনও ঘরছাড়া। তৃণমূলই মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে।”
|
গোয়ালতোড়ের স্কুলে আগুন, পুড়ল নথি |
রবিবার রাতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হল গোয়ালতোড়ের পিংবনি হাইস্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, বইয়ের আলমারি। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার ভোরে স্কুলের অফিসঘর থেকে প্রথমে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ততক্ষণে আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় অফিসরুমের একাধিক আলমারি, বই-নথিপত্র। পুলিশের অনুমান, মাঝরাতেই আগুন লাগে স্কুলে। প্রধান শিক্ষক অমরনাথ বিশ্বাস বলেন, “আগুনে স্কুলের প্রায় সব কাগজপত্রই পুড়ে গিয়েছে। থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রবিবারই এই স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক-প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। নির্বাচন অবশ্য হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান তৃণমূল-সমর্থিতরা। নতুন কমিটি কার্যভার নেওয়ার আগে আগের বাম-আমলের দোষ ঢাকতে আগুন লাগানো হয়েছে বলে তৃণমূল শিবিরের একাংশের সন্দেহ।
|
খড়্গপুরে বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু |
এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুর শহরের বিদ্যাসাগরপুরে। মৃতার নাম মৃদুলা মিত্র (৬২)। কী ভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বৃদ্ধার মাথায় আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, কেউ বা কারা তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করেছে। তার ফলেই মৃত্যু। খড়্গপুর টাউন থানার আইসি স্বপন দত্ত বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী ভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃদুলাদেবী বাড়িতে একাই থাকতেন। সোমবার সকালে তাঁর বাড়ির দরজা খোলা ছিল। দুধ দিতে এসে এক জন ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। পরে স্থানীয় কয়েক জন এসে বাড়ির মধ্যে ঢুকে দেখেন খাটের উপর বৃদ্ধার দেহ পড়ে রয়েছে। মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
|
পোস্টাল এজেন্টরা নতুন কমিটি তৈরি করলেন। রবিবার মেদিনীপুরের ফিল্ম সোসাইটি হলে এক সভায় এই সংগঠন তৈরি হয়। যে কমিটির সম্পাদক হয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ দত্ত, সহ-সম্পাদক নীরজানন্দিনী সাহু ও সভাপতি হয়েছেন অশ্রুকণা লাহা। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পোস্টাল এজেন্টরা। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কিষান বিকাশপত্র তুলে দেওয়া, এমআইএসের বোনাস তুলে নেওয়া, এজেন্টদের কমিশন ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জনস্বার্থ-বিরোধী।
|
ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের কর্মচারী সমিতির খড়্গপুর মহকুমা সম্মেলন হল ইন্দায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নান্টুলাল দাস, বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, দীপক সাউ, প্রভাত চৌধুরী প্রমুখ। সভায় কর্মচারীদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। শূন্যপদ পূরণেরও দাবি জানানো হয়েছে।
|
মোহনপুর ব্লকের বেগুনিয়া ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাপীঠে ক্ষমতা দখলে রাখল তৃণমূল। রবিবার স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ছ’টি আসনেই জিতে যান তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। |