বন অধিকার আইন সরল করতে প্রস্তাব
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
২০০৬ সালের বন অধিকার আইন সরলীকরণের জন্য কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রককে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানিয়েছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বনবস্তির বাসিন্দাদের পাট্টা দিতে হলে ৭৫ বছর বসবাসের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সেটা অনেকেই পারছেন না। বনমন্ত্রী বলেন, “এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে আইন সরলীকরণের জন্য বলা হয়েছে। আশা করছি, কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টিকে বিবেচনা করবে।” তবে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বন দফতরের সমণ্ণয়ের অভাবে যে বনবস্তিতে সমীক্ষার কাজ শেষ করা যায়নি সে কথাও মেনে নিয়েছেন বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাম আমলে বন অধিকার আইন নিয়ে কোনও কাজই হয়নি। এখন কাজ করতে গিয়ে যে সমণ্ণয়ের অভাব নজরে পড়েছে তা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।” সোমবার ডুয়ার্সে বন বাঁচাও যাত্রা নামে একটি পদযাত্রা শুরু করে উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবী মঞ্চ। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১১টি বনবস্তিতে এই ব্যাপারে মঞ্চের সদস্যরা প্রচার করবেন। অরণ্যের অধিকার নিয়ে নেপালি ভাষায় প্রকাশিত পুস্তিকাও বনবস্তির বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গ বন জন শ্রমজীবী মঞ্চের আহ্বায়ক লাল সিংহ ভুজেল বলেন, “অরণ্যের অধিকার আইন বনবস্তির মানুষদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের এই অভিযান। রাজাভাতখাওয়া থেকে পদযাত্রা বার করা হয়েছে। বক্সা পাহাড়ের এগারোটি গ্রামে অরণ্যের অধিকার আইন নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে।” |
বক্সায় হাতির হানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
বক্সাব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল লাগোয়া পানাবাড়ি গ্রামে বুনো হাতির হামলা রবিবার রাতেও অব্যাহত থাকল। গত এক সপ্তাহ ধরে বুনো হাতিরা মূলত ধান খেত হানা দিয়েছে। ঘরবাড়ির উপর তেমন হামলা চালায়নি। রবিবার রাতে এক দল বুনো হাতি পাকা ধান খাওয়া ছাড়াও স্থানীয় শিবু সোরেন, বরথন মিনজ, বিশ্বজিত কেরকাট্টা সহ চার জনের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঘরে রাখা চাল, আটা ও লবন খেয়ে হাফিস করে। হাতির মুখে পড়েও পালিয়ে বাঁচেন। রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ অফিসার ভবেন বসুমাতা জানান, হাতির হানা রুখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। |