টুকরো খবর
ঘুড়ি ধরতে গিয়ে কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। আজ দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব সিংভূম জেলার মানগো থানার ১০ নম্বর রোড এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম পারভেজ আলম (১২)। তাদের বাড়ির উপর দিয়েই গিয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার। সেই তারে জড়িয়ে থাকা ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলম। তার মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ।
ছাদ ঘেঁষে এমন বিদ্যুতের তারের ছোবলই কেড়ে নিল এক কিশোরের জীবন। বিক্ষোভ
দেখাচ্ছেন জামশেদপুরের মানগো এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
বেলা একটা থেকে ঘণ্টা দেড়েক বিক্ষোভ চলার পর জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভকারীরা সরে যায়। এই ঘটনা প্রতিবাদে রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার (জেভিএম) কর্মীরাও। দলের পূর্ব সিংভূম জেলার নেতা ফিরোজ খান বলেন, “মৃত কিশোরের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি পেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বসতবাড়ির উপর দিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের লাইন টানার অভিযোগে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হবে।”

শিলিগুড়ির যুবক খুন দিল্লিতে
চায়ের দোকানের সামনে তর্কাতর্কি। তা থেকেই মারামারি। দক্ষিণ দিল্লির এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন শিলিগুড়ির যুবক শৈলজ রায়। আহত হয়েছেন তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ। ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত তিনটের সময় গোবিন্দপুরীতে এক চায়ের দোকানে পরোটা অর্ডার দেন সিদ্ধার্থ ও শৈলজ। সেই সময়ে দোকানে ছিলেন জালন্ধর থেকে আসা বিপিও কর্মী বিজয় ও তাঁর বন্ধু চেতন। শৈলজ কোনও কারণে বিজয়ের দিকে তাকানোর পরই বিজয় জানতে চান তিনি কেন তাকাচ্ছেন। এই নিয়ে দু-জনের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাক্রমে সেই সময়ে সেখানে পুলিশ এসে যায়। বিজয় ও চেতনকে চলে যেতে বলে। তখনকার মতো তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। পুলিশ ফিরে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরই তাঁরা দোকানে ফিরে আসেন এবং সিদ্ধার্থ ও শৈলজকে পেটাতে শুরু করেন। দু-জনকেই অচৈতন্য অবস্থায় এইমসে নিয়ে যান স্থানীয় মানুষ। সেখানেই শৈলজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সংজ্ঞা ফেরার পর ছবি দেখে বিজয় ও চেতনকে শনাক্ত করেছেন সিদ্ধার্থ। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেএমএম নেতা নিজের বাড়িতে খুন
ধানবাদের বাগমারা থানা এলাকায় আজ সকালে নিজের ঘরেই দুষ্কৃতীর আক্রমণে মৃত্যু হল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা পঞ্চাশোর্ধ্ব অক্ষয়লাল চৌহানের। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রাজনৈতিক যোগসূত্রের পাশাপাশি এলাকার কয়লা মাফিয়া একটি গোষ্ঠীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাজনৈতিক খুন বলে বিকেল পর্যন্ত অবশ্য দাবি করেনি জেএমএম-ও। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, অক্ষয়বাবুর বাড়ির বাগমারা থানার ভাটমোরনা মাইয়াডি গ্রামে। সকালবেলা আচমকাই তিন যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অক্ষয়বাবুর বুকে রিভলভার ঠেকিয়ে পর পর দুটি গুলি করে তারা। গুলির আওয়াজ শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে আসার আগেই একটি মোটরবাইক চেপে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ধানবাদের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অক্ষয়বাবুর মৃত্যু হয়।

কাজ না করলে ভাতা নয়, বললেন ওমর
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির অনুমোদন আদায় করে নিয়েছে মনমোহন মন্ত্রিসভা। আর এর জেরে পর পর বেশ কিছু দিন লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ওমর আবদুল্লা এ নিয়ে মুখ খুললেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট টুইটারে তিনি বলেন, ‘দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট সময় লোকসভার অধিবেশন না হলে সাংসদদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ তাঁর সাফ কথা, এ ক্ষেত্রে ‘কাজ না হলে বেতন নয় এই নীতিই মেনে চলা উচিত।’ খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ওমর প্রশ্ন তোলেন, কিছু পণ্যের আমদানির পথ সহজ করার জন্য এনডিএ জমানায় যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে কি ভারতীয় শিল্পের ক্ষতি হয়েছিল? সে সময় কেন্দ্রে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ওমর। তিনি বলেন, সে সময়ও ওই চুক্তি নিয়ে শোরগোল হয়েছিল। সমালোচনা হয়েছিল। ওমরের দাবি, ওই চুক্তির ফলে ভারতীয় শিল্পের পালে জোর হাওয়া লেগেছিল।

উদ্বাস্তুদের হেনস্থা বন্ধে আর্জি বৃন্দার
বাঙালি উদ্বাস্তুদের হেনস্থা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে অনুরোধ জানালেন বৃন্দা কারাট। বাঙালি উদ্বাস্তুদের একটি গোষ্ঠী আজ থেকে যন্তরমন্তরে অনশনে বসেছে। সিপিএমের পলিটব্যুরো নেত্রীর দাবি, বাংলাদেশ থেকে চলে আসা এই সব মানুষের সন্তানরা এ দেশে জন্মালেও তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই উদ্বাস্তুদের অধিকাংশই নমঃশূদ্র বা দলিত শ্রেণির। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে নাগরিক আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বৃন্দা।

জামিন সুখরামের
দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী সুখরাম। তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। ১৯৯৬ সালে টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন সুখরাম। তখন হরিয়ানা টেলিকম লিমিটেড নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তিনি নিয়ম ভেঙে তাদের সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। সুখরামের বয়স ও অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাঁকে ১০ লক্ষ টাকার জামিনদারের বিনিময়ে মুক্তি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না। আগেও একাধিক দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন সুখরাম। তবে উচ্চ আদালত শাস্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তাঁকে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়নি।

দুর্ঘটনায় মৃত ১৫
দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল ১৫ জনের। আজ মহারাষ্ট্রের বুলদানা জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ভোরে মেহকার অঞ্চলে দু’টি বেসরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ফলে বাস দু’টিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.